ভোট পরবর্তী হিংসা, জুনের মধ্যেই রাজ্যের কাছ থেকে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

ভোট পরবর্তী হিংসা এবার সুপ্রিম কোর্টে 
রাজ্যের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট 
সিট গঠন নিয়েও আলোচনা শুনানিতে 
রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা এবার সুপ্রিম কোর্ট 
 

Asianet News Bangla | Published : May 25, 2021 10:45 AM IST

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব সুপ্রিম কোর্ট। অবিলম্বে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা রুখতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী জুন মাসের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এদিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠনের বিষেয়েও আলোচনা হয়েছে। 

দুই আইনজীবী ও পাঁচ সমাজকর্মী রাজ্যে ভোট সন্ত্রাস চলছে -এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বিনীত সারন ও বিচারপতি বিআই গাভআইয়ের বেঞ্চে। এই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনকেও যুক্ত করাপর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কাছ থেকেই এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর অর্থাৎ ২ মে-র পর থেকে রাজ্যে যেসকল রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে তাও তদন্ত করে দেখার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের দাবিও জানান হয়েছে মামলাকারীদের পক্ষ থেকে। এদিন সেই বিষয়েও রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ভোটের পরেও কেন রাজ্যে হিংসা ঘটনা থামছে না, কীভাবে হিংসার ঘটনা থামানো যেতে পার? -তাও রাজ্যের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। 
 
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এই অবস্থায় গোটা দেশের ২ হাজারেও বেশি আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠিলিখেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার কথা উল্লেখ করেছেন। ২ মে-র পর ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে বাংলায় বসবাসরত দেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক সংকট ও দুর্ভাগ্যজনক অবস্থার দিকে সুপ্রিম  কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন। তাঁরা বলেছেন বাংলার হিংসা হাজার হাডার মহিলা আইনজীবীর বিবেক কাঁপিয়ে দিয়েছে। রাজ্য পুলিশও এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আইনজীবীদের দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হোক । এই মামলায় জাতীয় মহিলা, শিশু ও মানবাধিকার কমিশকে যুক্ত করার দাবিও জানিয়ে ছিলেন তাঁরা। 

Share this article
click me!