আব্বাস সিদ্দিকিকে শুধু কংগ্রেসের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে না। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বামফ্রন্ট শিবিরেও। দীর্ঘ দিনের ফ্রন্ট শিবিরেও ফটল ধরাতে পারেন ফুরফুরার পীরজাদা। সূত্রের খবর রবিবার সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেডের মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে দীর্ঘ দিনের বামফ্রন্টের শরিক দল ফরোয়ার্ড ব্লক চিঠি দিয়ে মেগা জনসভায় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকার করে। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে আব্বাস সিদ্দিকের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়েও।
সূত্রের খবর ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও সিপিএম নেতা বিমান বসুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানেই তিনি আব্বাস সিদ্দিকি ও তার দলের ইন্ডিয়ার সেকুলার ফ্রন্টের ধর্মনিরপেক্ষতার সার্টিফিকেট চেয়েছেন। ফরোয়ার্ড ব্লকের আরও তিন নেতাও এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও বিমান বসু বিষয়টি নিয়ে কোনও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে সূত্রের খবর বিমান বসুর নরেন চট্টোপাধ্যায়কে ব্রিগেডে অংশ নিতে অনুরোধ করেছিলেন। যদিও ব্রিগেডের মঞ্চে দেখা যায়নি নরেন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে দলের অনেক কর্মী সমর্থকই বরিবারের ব্রিগেডে উপস্থিত ছিলেন। ভোটের আগেই ফরোয়াড ব্লক বাম শিবির ত্যাগ করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে জানাননি দলের কোনও নেতা কর্মী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিপিএম নেতা বলেছেন, দলেরও অনেক নেতাই রয়েছেন যাঁরা ফুরফুরার পীরজাদা ও তাঁর দল আইএফএস-এর সঙ্গে পথ চলতে নিমরাজি। তিনি আরও বলেছেন ২০০৬ সালে দলীয় নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী তারাপীঠে গিয়েছিলেন, সেই সময় দলে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। প্রয়াত নেতাকে সেই সময় দলের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছিল। তিনি আরও বলেন যদিও আবদুর রেজ্জাক মোল্লা তাঁদের দলে থাকার সময় হজ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে দলের অনুমতি নিতে হয়েছিল।
যদিও বামফ্রন্টের অনেক নেতাই আব্বাস সিদ্দিকি ও তাঁর দলকে নিয়ে তেমন কিছু ভাবতে নারাজ। তাঁদের কথায় ব্রিগেডের জনসভায় উপস্থিত হয়ে আব্বাস একবারও ধর্মীয় স্লোগান তোলেননি। ইমাম ভাতা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। উল্টে তিনি চাকরি ও কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছিলেন।