শতাব্দীর দিল্লি যাওয়া নিয়ে চিন্তায় সৌগত,' ভাবের ঘরে চুরি' বলে কটাক্ষ জয়প্রকাশের

 

  •  শতাব্দীর দিল্লি যাওয়া নিয়ে চিন্তায় সৌগত
  •  শতাব্দীর ফেসবুকে পোস্ট ঘিরে জল্পনা
  • সৌগতকে ' ভাবের ঘরে চুরি'বলে কটাক্ষ
  • এই মুহূর্তে শতাব্দীর বাড়ি গিয়েছেন কুণাল 

Ritam Talukder | Published : Jan 15, 2021 10:16 AM IST / Updated: Jan 15 2021, 03:54 PM IST

শুক্রবার দিল্লি যেতে পারেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়।  'অমিত শাহ-র এর সঙ্গে বৈঠক হবে এমন কথাও বলছি না, আবার এটাও বলছি না যে দেখা হবে না।' শতাব্দীর এমন হেঁয়ালিতেই তৃণমূলের মুখে হাসি ফিকে হয়েছে এসেছে। যদিও তৃণমূলের তরী ডোবার আগে শেষ চেষ্টা করছেন সৌগত রায়, চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে। এতসব কিছু পর উসকে দিল, এই মুহূর্তে শতাব্দী রায়ের বাড়ি গিয়েছেন কুণাল ঘোষ।

'ভোটারদের কাছে আসতে পারছেন না, দলীয় কর্মসূচি তাঁকে জানানো হচ্ছে না', এই অভিযোগ এনেছেন  শতাব্দী রায়। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্ট ঘিরেই বুক ধুকপুক হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে। তিনি বলেছেন 'পরিচিত মানুষদের সঙ্গে দেখা হতেই পারে। কিন্তু তারমানে মিটিং বা মিটিং করবোই ও এর জন্য দিল্লি যাওয়া এমনটা বলা যায় না। বলতে গেলে কিছুই বলতে পারছি না- ঠিক নেই। অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করবো এমনটাও বলিনি। আমি বলছি ঠিক নেই। দেখা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু দেখা করছি এটাও বলছি না।

 এই প্রসঙ্গে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমি শুনেছি। গতকাল থেকেই শতাব্দীর ফেসবুকে পোস্ট বেরোচ্ছে। আমি জানি না উনি দলের কাউকে জানিয়েছেন কি না। ওর আপত্তি থাকতেই পারে। তবে দলে বললে এখনও সমস্য়ার সমাধান হতে পারে। তবে এখনও অবধি আমি ওকে ফোনে পাইনি' তিনি আরও বলেন, 'বোলপুর রোড শোতে তো নেত্রীর কাছাকাছি ছিলেন। যদি না বলতে পারেন তা খুবই দুঃখের।'
 
অপরদিকে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, শতাব্দী রায়ের  দীর্ঘদিনের ক্ষোভ-তৃণমূলের মধ্য়ে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া সেটা এবার সামনে এসেছে। বোলপুর রোড শোতে মমতা সঙ্গে শতাব্দীর কথা না হওয়া প্রসঙ্গে সৌগত রায়কে  'নিজের ভাবের ঘরে চুরি করা'বলে কটাক্ষ করেছেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন এভাবে কথা বলা যায় না, সেটাও নিজেও জানেন সৌগত।


উল্লেখ্য, তিনবারের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তৃণমূলের প্রয়াত অভিনেতা সাংসদ তাপস পালের হাত ধরেই মমতার ঘনিষ্ঠতা লাভ করেছিলেন শতাব্দী। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে মমতার আগুয়ান আন্দোলন দেখে পাকাপাকিভাবে পা বাড়িয়েছিলেন রাজনীতিতে। ২০০৯  সাল থেকে সাংসদ হয়েছেন শতাব্দী। সেই শতাব্দী এখন দলের উপরে ক্ষুব্ধ শুধু নয়, সেই সঙ্গে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ১৪ জানুয়ারি তাঁর ফ্যান পেজে যে লেখাটা প্রকাশ হয়েছে, সেটা আসলে তাঁরই লেখা। আর দল নিয়ে তিনি কী ভাবছেন তা ওই লেখাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শতাব্দী। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, ২০০৯ সাল থেকে তিনি সাংসদ, অথচ এই নিয়ে এতদিন দলের অন্দরেই তিনি কথা বলেছেন। তাঁর এমন মনকষ্ঠ এতদিন তিনি এভাবে প্রকাশ্যে আনেনি কেন। তবে, সন্দেহ নেই শতাব্দীর এই বেসুরো হওয়ার পিছনে রাজ্য-রাজনীতিতে উসকাল তৃণমূল শিবির।

 

Share this article
click me!