রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই আজ, বুধবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে তাঁর। বুধবার শুভেন্দু বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। রাজ্য জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। আলোচনায় যেমন এই ইস্যু উঠে আসতে পারে, তেমনই বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী রণকৌশল কী হতে চলেছে, তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরোধিতা কোন পথে, তার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
তৃণমূলের হাতে একাধিকবার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন, প্রাণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের, এমন অভিযোগও উঠে এসেছে। এই অভিযোগ নিয়ে এর আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন শুভেন্দু। এবার দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রের।
মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন শুভেন্দু। রাজ্যের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস সহ একগুচ্ছ ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আলোচনার জন্য দিল্লিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর বাড়িতেই দেখা করেন শুভেন্দু।
সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে সেকথা জানান তিনি। পাশাপাশি শুভেন্দু জানান বাংলার একাধিক বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বাংলার জন্য শুভকামনা করেছেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
অমিত শাহের পরে শুভেন্দু দেখা করেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডভির সঙ্গেও। দেখা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে। দল সবরকম ভাবে শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছে বলে এদিন আশ্বাস দিয়েছেন নাড্ডা। বাংলার যে কোনও বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়ানো হবে বলেও এদিন নাড্ডা জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে এই প্রসঙ্গে একটি ট্যুইট করেন শুভেন্দু।
এদিকে, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন শুভেন্দু বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি ও পদক্ষেপ কী হতে চলেছে, ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হবে এই বৈঠকে বলে খবর।
দিন কয়েক আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে চলা নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই সংক্রান্ত নথি ও বেশ কিছু তথ্য।