দাদা গেলেন হাসপাতালে, মন্ত্রী বলছেন-'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়', নির্বাচনের এক অলীক উপাখ্যান

  • ভোটের মুখে কালকাতা রাজ্য 
  • নতুন রাজা হবেন কে, এই নিয়ে জোর চর্চা
  • শাসক দল জনতা জনার্দন খুঁজছে নতুন মুখ 
  • কিন্তু, সেই মুখের খোঁজে সামনে এল গভীর ষড়যন্ত্র

Asianet News Bangla | Published : Jan 4, 2021 1:12 PM IST / Updated: Jan 04 2021, 11:41 PM IST

পটভূমি- নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে কালকাতা রাজ্য। নির্বাচনের মূল লড়াই জনতা জনার্দন বনাম কলমিফুল। আর একটি দল রয়েছে তার নাম রক্তজবা। কিন্তু, রক্তজবা-র ভোটবাক্স এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে জোর এগিয়ে সুকুমারীদেবী-র কলমিফুল দল। কিন্তু, ক্ষমতায় জনতা জনার্দন দলকে টিকিয়ে রাখতে জানপ্রাণ লড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী খড়দীপ। আর এর জন্য তারা তাদের মুখ বানাতে চাইছে জনপ্রিয়দাদা নামে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক হাডুডু খেলোওয়ারকে। বাকি কাহিনি জানতে নজর রাখতে হবে নিচে--- 

চিন্তায় মাথার চুল ছিড়ছেন মন্ত্রী খড়দীপ
মন্ত্রী খড়দীপের মাথায় হাত। কী হবে! জনপ্রিয়দাদা-র এমন শারীরিক অবস্থা! কেউ আঁচই করতে পারলো না! মন্ত্রী খড়দীপ সমানে একে তাকে জিগিয়েই চলেছেন। কী হলো? বলতে গেলে কালকাতা রাজ্যে এখন জনপ্রিয়দাদা-র মতো সম্মানিত কোনও ব্যক্তি-ই নেই। কারণ, জনপ্রিয়দাদা-র উপরে জোর ভরসা কালকাতা রাজ্যের নাগরিকদের। এমনকী দুর্দশাগ্রস্ত কালকাতা রাজ্যের শাসনভার যাতে জনপ্রিয়দাদা নিজের হাতে গ্রহণ করেন তা প্রবলভাবে চায় কালকাতা রাজ্যের মানুষ। জনপ্রিয়দাদা-র তাতে খুব একটা উৎসাহ আছে বলে মনে হয় না। আসলে জনপ্রিয়দাদা-র যাবতীয় ভালোবাসা ওই হাডুডু খেলায়। হাডুডু খেলায় জনপ্রিয়দাদা-র বিশ্বজোড়া নাম। শুধু-তো খেলা নয় তীক্ষ্ণ বুদ্ধিতে জনপ্রিয়দাদা-র জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু, হাডুডু খেলা-কে বিদায় জানানোর পর জনপ্রিয়দাদার এখন যাবতীয় নজর ওই খেলাকে বিশ্বের এক নম্বর স্থানে নিয়ে যাওয়ার। এদিকে, মন্ত্রী খড়দীপ চাইছেন জনপ্রিয়দাদা-কে সামনের নির্বাচনে রাজা-র পদে প্রার্থী করতে। কারণ, তাঁর স্থীর বিশ্বাস জনপ্রিয়দাদা-ই পারবেন তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে কালকাতা রাজ্যের হাল ফেরাতে। এর পাশাপাশি বুড়ো মন্ত্রী খড়দীপের মাথায় আর একটা কূটকৌশলও কাজ করছে। আর এই কৌশল রাজ্য পরিচালনার কাজে রাজনীতি নামেই পরিচিত। আর এই রাজনীতি-র আঙিনায় মন্ত্রী খড়দীপ আসলে জনপ্রিয়দাদা-কে রাজার পদে আনতে চেয়ে বিরোধী শক্তি কলমিফুল-দলকে মাত দিতে চাইছেন। মন্ত্রী খড়দীপ মনে করেন এই কলমিফুল দলটি রাজ্য পরিচালনায় এলে সব শেষ করে দেবে। কলমিফুল দলটির নেত্রী আবার সুকুমারীদেবী। গদি প্রায় উল্টে দেন এমন পরিস্থিতি। মন্ত্রী খড়দীপ লড়ে যাচ্ছেন জনতা জনাদর্নের দলের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া সরকারকে টিকিয়ে রাখতে। তাই তিনি চেষ্টা করে চলেছেন যদি কোনওভাবে জনপ্রিয়দাদা-কে জনতা জনাদর্নের মুখ করে দেওয়া যায়। 

বহুচেষ্টার পর অবশেষে মনের কথা হল উজার- 
বহুবার জনপ্রিয়দাদার সঙ্গে তাঁর বেশ ভালোই আড্ডা হয়েছে। কিন্তু, যখনই তিনি জনপ্রিয়দাদা-কে মনের ইচ্ছে জানাতে গিয়েছেন সে বিষয় আর এগোয়নি। এবার অনেক চেষ্টা করে জনপ্রিয়দাদা-কে প্রায় ধরে বেঁধে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এসেছিলেন। কালকাতা রাজ্যের হাল, কলমিফুল দলের উৎপাত, সুকুমারীদেবীর দুর্নীতি সবই জনপ্রিয়দাদার সামনে উজার করে দিয়েছেন। জনপ্রিয়দাদা হ্যাঁ বা না বলেননি, তবে তিনি মৃদু হাসি দিয়েই বা়ড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। মনে মনে আশার খেলা ঘর তৈরি করে ফেলেছিলেন মন্ত্রী খড়দীপ। এই রাজাহীন রাজ্যটা এবার সঠিক অর্থে রাজা পাবে! কিন্তু এ হলটা কী? চারিদিকে চর ছড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী জগদীপ। আসল কারণটা জানতেই হবে। কারণ, সেদিন তো দিব্যি ছিলেন জনপ্রিয়দাদা। দেখে একবারও মনে হয়নি তিনি অসুস্থ। ১০ মিনিটের হাডুডু মেগা লিগ নিয়ে কত কথা হল। জনপ্রিয়দাদা এবার বিশ্বের সামনে এক নতুন হাডুডু লিগ নিয়ে এসেছেন, আর এটা হল ১০ মিনিটের হাডুডু খেলা। সীমানা ছাড়িয়ে জনপ্রিয়দাদা তা নিয়ে গিয়ে হাজির হয়েছেন বিশ্বের সামনে। 

পাল্টা চাল মন্ত্রী খড়দীপের, সামনে এল অকশোদা পর্ব- 
হাসপাতালের সামনে মন্ত্রী খড়দীপ তাঁর লোকেদের ছদ্মবেশে মোতায়েন করে দিয়েছেন। কে আসছে, কে যাচ্ছে জনপ্রিয়দাদা-র সঙ্গে দেখা করতে- সে খবর সরাসরি চলে যাচ্ছে মন্ত্রী খড়দীপের কাছে। ইতিমধ্যেই এক চর মারফত মন্ত্রী খড়দীপ জানতে পেরেছেন, জনপ্রিয়দাদা-র বাড়িতে নাকি দেখা গিয়েছে অকশোদা-কে। এত বছর পর হঠাৎ অকশোদা কেন জনপ্রিয়দাদা-র বাড়িতে? সমানে চোখ গোল গোল করে ভেবে চলেছেন মন্ত্রী খড়দীপ। এই ব্যাটা-টা আবার কান ভেংচানি দিলো না তো! চিন্তায় মাথার পাগড়িটা প্রায় পিছলে পড়ে যায় মন্ত্রী খড়দীপের। টাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে। উফ! বাবা দুনিয়াটা যেন ষড়যন্ত্রকারী-তে ভরে গিয়েছে। আসলে জনপ্রিয়দাদা খুব কাছের জন এই অকশোদা। একটা সময় অকশোদা-র দল রক্তজবা এই কালকাতা রাজ্য শাসন করত। সেই সময়ই খেলার জগতে বিখ্যাত হয়েছিলেন জনপ্রিয়দাদা। আর এই সময়ই জনপ্রিয়দাদা-র সঙ্গে প্রবল সখ্য হয়ে উঠেছিল অকশোদা। ক্ষমতা থেকে বাইরে কিন্তু জনপ্রিয়দাদা-কে ঘিরে আদিখ্যেতা দেখাতে কসুর করেন না অকশোদা। কিন্তু, কী এমন হল অকশোদা-র যে নির্বাচনের এমন এক জটিল আবহে সোজাসুজি জনপ্রিয়দাদার অট্টালিকায় গিয়ে হাজির হয়েছিলেন? মনে মনে জপে চলেন মন্ত্রী খড়দীপ, যে করেই হোক আসল সত্যটা বের করতে হবে। 

কৌশল নিলেন মন্ত্রী খড়দীপ, সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য-- 
নিজের লোকেদের মন্ত্রী খড়দীপ জানিয়ে দিয়েছেন গত একমাসে জনপ্রিয়দাদা-র বাড়িতে যারা গিয়েছে এবং তাঁকে যারা ফোন করেছে তার সমস্ত তথ্য তাঁর চাই। এমনকী, অকশোদা-র গত একমাসের সমস্ত ফোন কলের ডিটেলসও চেয়ে পাঠিয়েছেন মন্ত্রী খড়দীপ। সবার উপরে নজরদারি বাড়াতে হবে। মন্ত্রী খড়দীপের দৃঢ় ধারনা, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। এ তো ফিট একটা মানুষ কী করে সোজা হাসপাতালের আইসিইউ-তে চলে গেল! এমনকী বুকের মধ্যে স্ট্রেন্টও নাকি বসাতে হচ্ছে। আর যে হাসপাতালে এই মুহূর্তে জনপ্রিয়দাদা-র চিকিৎসা চলছে তারাও বেশ টেটিয়া। কোনও তথ্যই দিতে চায় না। কথায় কথায় মেডিক্যাল নর্মস, আর রোগীর প্রাইভেসির গান গাইছে। মনে হচ্ছে এখনই লাইসেন্স দেই ঘ্যাচাং করে কেটে। রাত-দিন সাত সতেরো ভেবে চলেছেন মন্ত্রী খড়দীপ। কিন্তু, লাইসেন্স নিয়ে কিছু করতে গেলে জনপ্রিয়দাদা-র ভক্তরা গোল পাকিয়ে দিতে পারে। তাহলে জনতা জনার্দন দলটি যাবে মায়ের ভোগে। তবে খবর এসেছে, এই হাসপাতালের শীর্ষকর্তাদের নাকি বশ করে রেখেছেন কলমিফুল দলের নেত্রী সুকুমারীদেবী। তিনি নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এলে হাসপাতালটিকে মাল্টি-স্পেশালিটি-র লাইসেন্স দিয়ে দেবেন। জনপ্রিয়দাদা-র সঙ্গে দেখা করতে  হাসপাতালে গিয়েছিলেন মন্ত্রী খড়দীপ। আইসিইউ-এর ভিতরে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ওই মেডিক্যাল বোর্ডের হোদলা ডাক্তারটা বলে কি না অতিমারি-তে এখন বহিরাগতদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর স্ট্রেন্ট বসানোর পর জনপ্রিয়দাদা এখন বেশ কিছুটা ক্লান্ত। তাই আইসিইউ-এর বাইরে কাঁচের জানলার সামনে থেকেই জনপ্রিয়দাদা-কে হাত নেড়ে বিদায় নিতে হয়েছিল মন্ত্রী খড়দীপকে। একটাই স্বান্তনা জনপ্রিয়দাদা হাসি মুখেই হাতটা নেড়েছিল। কিন্তু, হাসির মধ্য়ে কিছু যেন একটা লুকিয়ে ছিল বলে মনে হচ্ছে মন্ত্রী খড়দীপের। 

রহস্যের পর্দা ফাঁস, লাফাচ্ছেন মন্ত্রী খড়দীপ- 
রাজপ্রসাদে তীব্র দর্পে লাফাচ্ছেন মন্ত্রী খড়দীপ। একটা ছবি আজ তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ-এ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সুকামারীদেবী একটা মনিটরের সামনে বসে রয়েছেন। আর মনিটরে দেখা যাচ্ছে আইসিইউ বেডে শুয়ে থাকা জনপ্রিয়দাদা-কে। যে ছবিটা ফরোয়ার্ড করেছে সে মন্ত্রী খড়দীপকে জানিয়েছে, সুকুমারীদেবী নাকি জনপ্রিয়দাদা-কে বলেছে, তুমি কিচ্ছু ভেব না। আমি সব সামলে দেব। শুধু তুমি এদিক-ওদিক করো না। রাজ্যপাট তোমার কাপ অফ টি নয়। এতক্ষণ যেটা জল্পনা মনে হচ্ছিল মন্ত্রী খড়দীপের এখন সেটা মনে হচ্ছে ঘোর ষড়যন্ত্র। ইন্টারন্যাশনাল জনতা জনার্দন দলের প্রসিডেন্টের সামনে কী জবাব দেবেন তিনি, ভেবে কুল করতে পারছেন না মন্ত্রী খড়দীপ। প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করেছিলেন জনপ্রিয়দাদা-ই এবার জনতা জনার্দন দলের মুখ। কালকাতা রাজ্যের ক্ষমতাকে থেকে তাদের হঠানো সুকুমারীদেবীর কলমিফুল দলের কম্ম নয়। হায়-রে সব বোধহয় গেল! চিৎকার করে এক বিশ্বস্ত অনুচরকে ডেকে পাঠান মন্ত্রী খড়দীপ। অকশোদা-র কল ডিটেলস এসেছে কি না জানতে চাইলেন। কল লিস্টের তালিকাটা হাতে নিয়ে আরও ব্যোমকে গেলেন মন্ত্রী খড়দীপ। ওরে শা... তলে তলে এত। গত একমাসে অকশোদার সঙ্গে পাঁচশোবাারেরও বেশি ফোনে কথা হয়েছে সুকুমারীদেবীর। এমনকী যেদিন মন্ত্রী খড়দীপের সঙ্গে শেষবার দেখা করে গেল জনপ্রিয়দাদা- সেদিন রাতে ৪ বার গভীররাত পর্যন্ত সুকুমারীদেবীর ফোন থেকে কল গিয়েছে অকশোদার ফোনে! কীসের এত কথা। 

দাবার চালে পাল্টা মাত দিতে প্রস্তুতি মন্ত্রী খড়দীপের- 
মন্ত্রী খড়দীপ-এর চোখ আরও কপালে। কারণ, তাঁর সঙ্গে জনপ্রিয়দাদা-র মিটিং-এর পর সুকুমারী এবং অকশোদা দুজনেই আলাদা আলাদা করে ফোন করেছেন জনপ্রিয়দাদা-কে। যা আশঙ্কা করেছিলেন, তার মানেই সেটাই- ভেংচানি-টা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী খড়দীপ এবার নিজের প্ল্যান অফ অ্যাকশন ঠিক করে নেন। তিনি ঠিক করেন চাপটা রাখতে হবে। ময়দান ছেড়ে ভেঙে তিনি যাবেন না। তিনি যে বুনো তেঁতুল তা ওই সুকুমারীদেবী-কে বোঝাতে হবে। মন্ত্রী খড়দীপ সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে দেন ঠাকুরসাহেব এবং মোটেভাইকে। মোটেভাই তো জনপ্রিয়দাদা-র সঙ্গেই হাডুডু খেলার উন্নয়নে কাজ করছে। আর ঠাকুরসাহেব আছেন এদের পিছনে। দেখ এবার খেলা কাকে বলে। এরা সকলেই যাবে জনপ্রিয়দাদা-র সঙ্গে দেখা করতে। সুকুমারীদেবী যতই হাসপাতাল থেকে শুরু করে জনপ্রিয়দাদা-র কেবিনে লোক লাগিয়ে রাখুক না কেন, এই ডিফেন্স তিনি ভেঙেই ছাড়বেন। এদিকে, সুকুমারীদেবী নাকি আবার উড়িয়ে নিয়ে এসেছেন বিখ্যাত ফুঁসফুঁস বিশেষজ্ঞ শেঠসাহেবকে। যিনি একটা সময় মাছের ফুঁসফুঁস দিয়ে মানুষের শিশু শরীরে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। এখনও যে গেম আছে তা ভালোই জানেন মন্ত্রী খড়দীপ। টেবিলে দাবার বোর্ডটা বেশ ভালো করে সাজিয়ে নিয়েছেন মন্ত্রী খড়দীপ। এবার প্রতিটা চাল হবে মোক্ষম। জনপ্রিয়দাদা-কে তিনি ছিনিয়ে নেবেন যে কোনও মূল্যে। এদিকে, আইসিইউ-এর বেডে শুয়ে শুয়ে জনপ্রিয়দাদা-র মুখটা পাংশুটে হওয়ার জোগার। এটা কী হল! এতো বাঁচতে গিয়ে আরও যেন গাড্ডায় চলে গেলেন। ওফ! বাবা নির্বাচনটা গেলে বাঁচি! নিজের মনে আওড়ে চলেন জনপ্রিয়দাদা। ততক্ষণে আইসিইউ-এর লাল আলোটা বিচ্ছিরিভাবে বেজে উঠেছে। 

(এই লেখা নিছক কয়েকটি কাল্পনিক চরিত্রের উপর ভিত্তি করে কাল্পনিক কাহিনি নিয়ে তৈরি, এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনও মিল বা সাদৃশ্য খোঁজার চেষ্টা করবেন না।)

Share this article
click me!