৭ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসছেন মোদী। এদিকে এই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে তমলুকের তৃণমূলের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে। এখানেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। একুশের নির্বাচনের আগে কি তবে অধিকারী পরিবারে পুরোটাই পদ্মের মুখ হতে চলেছে, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর হাত ধরে ভাই সৌমেন্দু সহ তৃণমূলের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়েছে বিজেপিতে। যার জেরে একুশের ভোট যুদ্ধ আরও বেশি উসকে গিয়েছে। যার ফল স্বরুপ শুভেন্দু বাবা শিশির অধিকারীকেও তৃণমূলের একাধিক পদ থেকে বয়েসের কারণ দেখিয়ে অপসারণ করা হয়েছে। কার্যত দলে শুধুই খাতায় কলমেই আছেন দিব্যেন্দু-শিশির অধিকারী। এমন পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কর্মসূচিতে দিব্যেন্দুকে আমন্ত্রন স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্দরে প্রভাব ফেলবে। ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসছেন মোদী। ওইদিন হলদিয়ায় ২ টি প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি।
তবে বিতর্কের বীজ উভমুখী। একদিকে এই আমন্ত্রন পত্র ঘিরে যদি শুরু হয় জল্পনা, তবে নিঃসন্দেহে নন্দীগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি নিঃশব্দে অনেক কথাই বলে দিয়েছে। তবে অধিকারী পরিবার থেকে পুরোপুরি ঘাস ফুল বিদায় নেবে কিনা তা বলবে ফেব্রুয়ারি।