কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি থেকে বিক্ষুব্ধদের মানভঞ্জন, দায়িত্ব পালনে কেশব প্রসাদ মৌর্য্য

  • রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার সারছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা
  • থেকেই গিয়েছেন ইউপির উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য
  • দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াচ্ছেন তিনি
  • একইসঙ্গে বিক্ষুব্ধ নেতাদের মানভঞ্জন করছেন বিজেপি নেতা
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 24, 2021 4:41 PM IST

বাংলার দখল করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছে পদ্ম শিবির। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ নিত্যদিন বাংলার সভা করছেন। এছাড়া বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা পালা করে বাংলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন। স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, উত্তর প্রেদশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সকলেই বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে আসছেন। আর উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বাংলায় দায়িত্ব নিয়ে রয়েই গিয়েছেন।

প্রায় মাস দেড়েক ধরে এ রাজ্যে রয়েছেন কেশব প্রসাদ মৌর্য। ষে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে দল তাঁকে হাওড়া, হুগলি ও মেদিনীপুর দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলীয় নির্দেশ মেনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের মনোবল জোগাচ্ছেন। এদিন দুপুরে শ্রীরামপুরের বিজেপি  প্রার্থীকবীর শঙ্কর বসু রিষড়া শহরের অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকা গুলিতে প্রচার সারছিলেন। তরুণ আইনজীবী কবীরকে উৎসাহ জোগাতে কলকাতা থেকে সড়কপথে চলে আসেন কেশব প্রসাদ মৌর্য। কবীরকে পাশে বসিয়ে রিষড়ার সাহু সমাজ নামে একটি সভাঘরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আধঘন্টার বৈঠকও সারেন মৌর্য। 

শুধু দলের প্রার্থী ও কর্মীদের মনোবল বাড়ানো নয়, দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের মানভঞ্জনও করছেন কেশব প্রসাদ মৌর্য। শ্রীরামপুরের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য্য দলীয় প্রার্থী হতে না পেরে গোঁসা করে এতদিন বাড়িতেই নিজেকে গুটিয়ে রেখে ছিলেন। এমনকি দল ছেড়ে দেবেন বলে ঘোষণাও করে ছিলেন। প্রবীণ এই আইনজীবী  দীর্ঘদিন দলের হুগলি জেলার সভাপতি ছিলেন।ছিলেন গত বিধানসভার প্রার্থীও।এহেন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে হাতছাড়া করতে নারাজ ছিল বিজেপি। এদিন তাই ভাস্কর বাবুর মানভঞ্জন করতে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বোসকে সঙ্গে নিয়ে স্বয়ং কেশবপ্রসাদ তাঁর বাড়িতে যান।দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা চলে।অবশেষে বরফ গলে।  ভোটের আগে  যে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বড় পাওনা বলেই মনে করা হচ্ছে।

Share this article
click me!