একুশের দোরগোড়ায় বাংলা। বিধানসভা নির্বাচনের ঘন্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক জমা ক্ষোভ ফেঁটে বেরোচ্ছে। 'মমতার সরকারের যতো প্রকল্পই হোক চাকরি দিতে পেরেছে কি গত ১০ বছরে', এই প্রশ্নেই ক্ষিপ্ত রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতিরা। তাই রাস্তার ত্রিফলা যে ঘর আলো করে না। বিজেপির চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড সেখানে নিঃসন্দেহে আশার আলো, আর এর বড়সড় প্রভাব যে সাধারন মানুষের ভোটে পড়বে তা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলে। এহেন কঠিন সময় বিজেপির মুকুল রায়ের প্রেডিকশন, পিঠে-পুলির মতো গিলছে বাংলার মানুষ। ইতিমধ্য়েই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ টি আসন পাবে কিনা, এনিয়ে সন্দেহের বীজ পেষণ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়।
'১০ বছরে রাজ্য়ে কোনও কর্ম সংস্থান হয়নি'
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যখন কৃষকরা দিল্লিতে আন্দোলন করছেন, তখন ওই আইনের সমর্থনে সভা করল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। সোমবার ঢোলাঘাটের মিলন মোড়ের পাশে বিজেপির সভায় মুকুল রায় জানিয়েছে,'২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১০০ টা আসন পাবে কিনা সন্দেহ আছে। গত ১০ বছরে রাজ্য়ে কোনও কর্ম সংস্থান হয়নি। বিজেপি রাজ্য়ে এলে সোনার বাংলা গড়বে।' বুলেট প্রুফ গাড়িতে এসে একের পর এক তোপ দেগেছেন কৈলাসও। কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূল সরকারের উদ্দেশ্য়ে 'চালচোরের সরকার' বলে কটাক্ষ করেছেন। পাশপাশি, নাম না করে বলেছেন,' কয়লা পাচার, গরু পাচার, সোনা পাচার করেন ভাইপো। কমিশন না দিলে যে ভাইপো যে কোনও উন্নয়নই করতে দেবে না বাংলায়'।
'একসময়ে বিজেপি সম্পর্কে যা বলতেন , সেগুলি মনে করুন-আমাদের সকলেরই ভাল লাগবে' প্রাক্তণীকে তাপস
অপরদিকে মুকুল রায়ের ওই মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, মুকুল রায় কী গণৎকার হয়েছেন। একসময়ে বিজেপি সম্পর্কে যে মন্তব্যগুলি করতেন ,সেগুলি মনে করুন -তারপর বলুন। তাহলে আমাদের সকলেরই ভাল লাগবে। ভাইপো তথা অভিষেকের বিষয়ে তাপস বলেন, প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা আদালতযোগ্য অপরাধ।