বুধবার কলকাতায় সকালে সামান্য কুয়াশা পরে পরিষ্কার আকাশ। রাতে শীত ভাব আর দিনে গরম। আবহাওয়া দফতরের সূত্র অনুযায়ী, পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় আটকে উত্তুরে হাওয়া। পূবালী হাওয়ার দাপটে জলীয় বাষ্প বাড়ছে। আপাতত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের অনেকটা ওপরেই থাকবে। রাতে ও সকালে শীতের আমেজ। দিনের বেলায় বাড়বে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দফতরের সূত্র অনুযায়ী,বাংলায় জাঁকিয়ে শীত এখনই নয়। উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপট। আগামী দুদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে গতকালের থেকে ৩ ডিগ্রি নিচে নেমেছে তাপমাত্রা। আগামী দিনে আরও কিছুটা নামবে পারদ। দুদিন পর ফের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা। উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। আগামী দু-তিন দিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থানে শৈত্যপ্রবাহ। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি অব্যাহত। ভারী বৃষ্টি তামিলনাড়ু,কেরলে।
আবহাওয়ার দফতরের পূর্বঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'মূলত কারণ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আগত ঠান্ডা বাতাস বাধা পেয়েছে, তাই এদিকে ঠান্ডা বাতাস এর প্রভাব কমেছে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে যে গরম হওয়া ঢুকেছে সেটা আমাদের রাজ্যের উপর থেকে যাচ্ছে। তার জন্য দিন ও রাতের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে গেছে। কারণ প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্পও আমাদের রাজ্যে ঢুকছে।' সেই কথা মতোই ১৩ তারিখ থেকে দিনের ও রাতের আবারও তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। কারণ উত্তর-পশ্চিমের ঠান্ডা হাওয়ার প্রভাব বাড়বে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, দার্জিলিং কালিম্পং এর হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দফতরের সূত্র অনুযায়ী, বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। নুন্যতম তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। কলকাতার নুন্যতম তাপমাত্রা ১৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৮৫ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৫১ শতাংশ। সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি উপরে। নুন্যতম তাপমাত্রা ২০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি উপরে। কলকাতার নুন্যতম তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৯৬ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৪০ শতাংশ।