উৎপল পোদ্দারঃ ২০২১ সালে বাংলায় সম্পূর্ণ পরিবর্তন হবে, এবং এই বিপ্লব রচনা করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। ১০০ বা দেড়শ বছর পরে যখন বাংলার ইতিহাস রচিত হবে, তখন এই ২০২১ সালের নির্বাচনের কথাও সেখানে লিপিবদ্ধ থাকবে। এসব দাবি বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসুর। শুক্রবার শিলিগুড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন।
শিলিগুড়ি বিধানসভার প্রার্থী শংকর ঘোষ, মাটিগাড়া নকশালবাড়ির প্রার্থী আনন্দময় বর্মণ, ফাঁসিদেওয়া বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী দুর্গা মুর্মু ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী শিখা চ্যাটার্জিকে সংবর্ধনা জানাতে একটি বৈঠকের আয়োজন করে বিজেপি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সায়ন্তন আরও বেশ কিছু চিত্তাকর্ষক তথ্য হাজির করেন। তিনি বামেদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ৩৪ বছর শাসনকালে তারা যা করেনি, তেমন নজির রচনা করে আউশগ্রাম কেন্দ্রে একজন গৃহপরিচারিকাকে প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আবার বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় প্রার্থী করা হয়েছে এক দিন মজুর মহিলাকে। সায়ন্তনের দাবি, গোটা রাজ্যের সাথে সাথে এ দুই কেন্দ্রেই তাঁরা জিতবেন।
নিজের বক্তব্যে সায়ন্তন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও আদর্শ নেই। বামেদের এক সময়ে যে আদর্শ ছিল, তা থেকে তারা সম্পূর্ণ বিচ্যুত হয়ে গেছে এবারের ব্রিগেডই তার প্রমাণ। ব্রিগেডে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গে সায়ন্তন বলেন, ১৯৪৬ সালে কলকাতার জনসভায় সোহরাবর্দী ও জ্যোতি বসুর উপস্থিতিতে ভারত ভাগের পক্ষে স্লোগান উঠেছিল। ২০২১ সালের বাম ব্রিগেড তারই পুনরাবৃত্তি। সায়ন্তনের দাবি, ব্রিগেডের গোটা জমায়েতই ছিল আব্বাসের লোকে ভরা।
দলের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, সে কথা মাথায় রেখে সায়ন্তন বলেন, এই যুদ্ধে সকলেরই ভূমিকা রয়েছে। কারও ভূমিকা সেনাপতির, কারও ভূমিকা পদাতিক বাহিনীর, কেউ আবার কাঠবিড়ালি। কারও ভূমিকায় কম গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এদিনের চার প্রার্থীর পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি জানান, এঁরা সকলেই কিছু দিন আগে অন্য দলে ছিলেন। তাঁর দাবি, তাঁদের দলে কোটিপতি থেকে দিন মজুর সকলেই ভোট প্রার্থী হয়েছেন।