মাটিতে লুকিয়ে রাখা 'গ্রেনেড 'কে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম চার শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালগছ এলাকায়।
মাটিতে লুকিয়ে রাখা 'গ্রেনেড 'কে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম চার শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালগছ এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মন্ডল ঘটনাস্থলে পৌছায়। ফেটে যাওয়া গ্রেনেডের পার্টস পরীক্ষা করে পুলিশ জেনেছে, সেইগুলি বিএসএফের মধ্য প্রদেশের কোনও ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও বিএসএফ আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে। আহত শিশুদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০ টা নাগাদ এলাকার চারজন শিশু একটি মাঠের মধ্যে ছাগল বাঁধতে গিয়েছিল। সেখানে একটি গোল একটি বস্তু দেখতে পায় তারা। সেটি হাতে তোলার সময়ই বিস্ফরণ ঘটে যায়। সেই বিস্ফোরণে জখম হয় চারজন শিশু। আহত শিশুদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চোপড়া থানার দাসপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। এলাকায় পৌঁছেছেন চোপড়া থানার আইসি ও ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ফেটে যাওয়া বোমার খোল উদ্ধার করা হয়েছে।সেটি একটি স্টান গ্রেনেডের খোল।মূলত বি এস এফ এটি ব্যবহার করে থাকে।সেই খোলে লেখা রয়েছে, সেটি বি এস এফের মধ্যপ্রদেশের টেকানপুর কারখানায় তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, সম্ভবতঃ বি এস এফের থেকেই এটি কোনোভাবে বাইরে এসেছে।ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরেই বি এস এফ ক্যাম্প ( ৯৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ন) রয়েছে। ওই ক্যাম্প থেকেই এই গ্রেনেড বাইরে এসেছে কি না তা নিয়ে বি এস এফের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় মানুষের যাতায়াত আপাতত নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, চাকরি গেল মন্ত্রী পরেশ কন্য়া অঙ্কিতার, ফেরাতে হবে পুরো বেতন, নির্দেশ হাইকোর্টের
তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান দুলাল মন্ডল জানিয়েছেন, 'ওই বাচ্চারা ওই মাঠে এদিন ছাগল চরাতে গিয়েছিল। বল ভেবে খেলতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।'পুলিশ সুপার শচীন মক্কর জানিয়েছেন, 'গ্রেনেড ফেটেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিএসএফ-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ওই চার শিশুকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। এই ধরনের গ্রেনেড বিএসএফ মূলত ব্যবহার করে থাকে। পার্শ্ববর্তী ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে। সীমান্তে চোরাচালানকারীদের মোকাবিলা করার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁরা শেষবার এই গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল। তখন থেকেই না ফাঁটা কোনও গ্রেনেড এলাকায় পড়ে ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সবদিক থেকেই তদন্ত করছে।'
আরও পড়ুন, ডিএ মামলার রাজ্য়ের আবেদন খারিজ, ৩ মাসের মধ্য়ে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ