রাজ্যে জোড়া প্রতারণার পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। একদিকে কলকাতা পুলিশের ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে শহরে ১ জন কিশোর-সহ গ্রেফতার মোট ৫ জন। অপরদিকে অ্যাপের মাধ্যমে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে কল সেন্টারের তিন কর্মী।
রাজ্যে জোড়া প্রতারণার (Fraud Case) পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। একদিকে কলকাতা পুলিশের ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে মধুচক্রে (Sex Racket) ফাঁসিয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেতেই নড়ে বসে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানা। এরপর নিউটাউনে এই ঘটনায় ১ জন কিশোর-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজার পুলিশ। এদিকে অ্যাপের মাধ্যমে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে কল সেন্টারের একাধিক কর্মী।
কলকাতা পুলিশের ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে মধুচক্রে (Sex Racket) ফাঁসিয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজির অভিযোগে নিউটাউন এলাকায়। নিউটাউনের শাপূর্জি আবাসন থেকে ১ জন কিশোর-সহ গ্রেফতার মোট ৫ জন। গ্রেফতার করলো লালবাজার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে বিভিন্ন মানুষের থেকে ব্ল্যাকমিল করে টাকা হাতিয়ে নিতো অভিযুক্তরা, এরকমই একটি অভিযোগ হয় লালবাজার সাইবার শাখায়। এরপর থেকেই তদন্তে নামে পুলিশ বুধবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে নিউটাউন শাপূর্জি আবাসনের হানা দিয়ে সি ব্লকের ২০৬ এবং ২০৭ নম্বর বাড়ি থেকে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একজন নাবালক। ধৃতদের সঙ্গে একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। অপরদিকে, রাজ্যের নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত লালকুটি এলাকায় কল সেন্টার খুলে অ্যাপের মাধ্যমে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা। ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রতারণা। গ্রেফতার কল সেন্টারের তিন কর্মী। যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করল নারায়নপুর থানা ও গুজরাট পুলিশ। ধৃতদের এদিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতদের গুজরাট নিয়ে যাবে গুজরাট পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিকালে গুজরাট পুলিশ ও নারায়নপুর থানার পুলিশ যৌথ হানা চালিয়ে লালকুটি এলাকার একটি কল সেন্টার থেকে তিন জন মহিলা ও পুরুষ কর্মীকে আটক করে। এরপরে নারায়ণপুর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কল সেন্টার থেকে অ্যাপের মাধ্যমে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গুজরাতের একাধিক ব্যক্তির কাছে ফোন যায় এবং তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ওই রাজ্যের একাধিক মানুষের লক্ষাধিক টাকা প্রতারিত হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে গুজরাট পুলিশ ও নারায়ণপুর থানার পুলিশ যৌথ হানায় লালকুটির কল সেন্টারের হদিশ পায়। সেখানে এসেই তাঁদেরকে আটক করে। এরপরে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে মহিলাদেরকে নোটিশ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুরুষ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের এদিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। তারপরে তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হবে।