পলাতক ওই বিচারাধীন আসামীর নাম মুক্তিপদ কুমার। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার তিলাই গ্রামে। পেশায় তিনি একজন হোমগার্ড ছিলেন।
পুলিশের (Police) চোখে ধুলো দিয়ে হাসপাতাল (Hospital) থেকে পালাল খুনের মামলার (murder case) বিচারাধীন আসামি। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Deben Mahata Government Medical College and Hospital)। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে (Isolation Ward) ভর্তি থাকার সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাথরুমের (Bathroom) জানলা ভেঙে আসামি পালিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পলাতক ওই বিচারাধীন আসামির নাম মুক্তিপদ কুমার। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার তিলাই গ্রামে। পেশায় তিনি একজন হোমগার্ড ছিলেন। জানা গিয়েছে, তিলাই গ্রামে চলতি বছরের ২৬ অগাস্ট দয়াল রাজোয়াড় নামে এক ব্যক্তির দেহ স্থানীয় ক্লাবের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মুক্তিপদকে ২ দিন পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিচার চলছিল। তাঁকে পুরুলিয়ার জেলা সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তায় দেবেন মাহাতো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তিনি। আর সেখান থেকেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাথরুমের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে পুরুলিয়া দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিকেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাঁকে ভর্তি করা হয়। আর বুধবার তিনি সেখানে বাথরুমে যান। বাথরুমের বাইরে অবশ্য পুলিশ পাহারা ছিল। কিন্তু, তাঁকে অনেক্ষণ ধরে বাথরুম থেকে বের হতে না দেখে সন্দেহ হয় বাইরে থাকা পুলিশকর্মীদের। এরপর বাথরুমে ঢুকে তাঁরা দেখেন জানলা ভেঙে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন।
সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দেয় পুরুলিয়া সদর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় হতবাক সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্তব্যরত নার্স জানান, এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কারণ তাঁরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনার কথা এমএসভিপিকে জানানো হয়। এদিকে হাসপাতালের বাথরুমের জানলা ভেঙে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতাল চত্বরে। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। যদিও এনিয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি অধ্যক্ষ ডাঃ সুকোমল বিষয়ী বলেন, "আমরা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুরুলিয়া সদর থানায় জানাই। তাছাড়া সেখানে পুলিশ ছিল নিরাপত্তার দায়িত্বে। তাই সেই কারণে যা করার তারাই করবে।"