গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চলছে একশো দিনের পুকুরের খননের কাজ। এভিযোগ বেছে বেছে সেই কাজের জন্য নাম নথিভুক্ত হচ্ছে শুধুমাত্র কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিকদের।কাজ না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিকদের। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে স্বজনপোষনের অভিযোগ। মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাঙরিয়া পাড়ায় রীতিমত গরম হয়ে উঠছে রাজনীতির হাওয়া।
১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে খনন করা হচ্ছে পুকুর।অভিযোগ টাঙরিয়া পাড়া গ্রামের তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিকেরা কাজ চাইতে গেলে তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাঙরিয়া পাড়া গ্রামের কংগ্রেসের সদস্য হালিমা বিবির স্বামী জাহাঙ্গীর আলম। গ্রামের বিধবা বধূদের অভিযোগ,তারা নাকি গত বিধানসভা নির্বাচনকে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট দিয়েছেন।তাই তাদের কাজ থেকে বঞ্চিত রাখছে ওই কংগ্রেস সদস্য। কাজ চাইতে গেলে অসহায় বিধবা বধূদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।পাশাপাশি এই পুকুর খননের কাজে নেওয়া হচ্ছে ওই গ্রামের কংগ্রেস সমর্থিতদের। তবে জবকার্ড যাঁদের রয়েছে তাঁরা পাচ্ছেন একশোদিনের কাজ। কাজ না পাওয়ায় রীতিমত ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা।
স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলে চাঁচল-১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন একশোদিনের কাজে বঞ্চিত শ্রমিকেরা।কাজ না পেয়ে সার্জুনা বিবি অভিযোগ করে বলেন,লকডাউনে স্বামী কর্মহীনতায় ভুগছে।গ্রামে একশো দিনের কাজ শুরু হয়েছে। গ্রাম সদস্যের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম খালি হাতেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আমরা এবছর নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছি যার কারণে একশো দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত রেখা হয়েছে বলেও জানিয়ে দিচ্ছে জাহাঙ্গির আলমের ঘনিষ্ট অনুচরর। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ব্যাপারে বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পাশাপাশি এলাকার বিধায়ককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।জবকার্ডধারী বঞ্চিত শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে অসহায়তার মধ্যে দিন গুজরান করছে।
যদিও একশো দিনের পুকুর খননে স্বজনপোষনের অভিযোগটি অস্বীকার করছে ওই জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন,সিংহভাগ শ্রমিক মহিলা হলে কাজ এগোবেনা। তবে মহিলাদেরও কাজে নেওয়া হয়েছে।দলমত নির্বিশেষে কাজ দেওয়া হয়েছে বলেও বলে দাবি করেছে সংতিনি। এদিকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চাঁচল-১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য।তিনি বলেন,শ্রমিকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।স্বজনপোষনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা জহুর আহমেদের দাবি,কাজ যেন সবাই পায় সেটা পঞ্চায়েতকে দেখা উচিত।লকডাউনে দিনমজুর পরিবারেরা হতাশা গ্রস্ত রয়েছে। যদি পঞ্চায়েত উপযুক্ত ব্যবস্থা না করে তবে দলীয়গত ভাবে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যদিও বিষয়টি নিয়ে মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দপ্তরে সাংবাদিকরা বিবৃতি নিতে গেলে প্রধানের অফিস ঘরের দরজায় ঝুলানো রয়েছে তালা।