'রাজ্য সরকার সকলের পাশে রয়েছে', মৃতের পরিবারগুলিকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও মৃতদের আত্মীয়দের তরফে শক্তিগড় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
'দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল', নদিয়ার হাঁসখালির ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Nadia Hanskhali Road Accident )ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী , রাজ্যপাল , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর । 'রাজ্য সরকার সকলের পাশে রয়েছে', ইতিমধ্য়েই মৃতের পরিবারগুলিকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
নদিয়ার হাঁসখালির পথ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, রাজপাল জগদীপ ধনখড় (WB Governor Jagdeep Dhankhar), বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (BJP Leader Suvendu Adhikari) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় ঘটে যাওয়া পথ দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ঈশ্বর ওনাদের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সহায় হোন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।' মৃতদের পরিবাররের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছেন, নদিয়ার পথ দুর্ঘটনার খবরে আমি মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। কঠিন সময় ভগবান তাঁদের সকলের সহায় হন। রাজ্য সরকার সকলের পাশে রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে।
উল্লেখ্য, নদিয়ার হাঁসখালিতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৮ জনের। একটি শববাহী গাড়ির সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৮ জনের। পরে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আৎও একজনের মৃত্যু হয়। আহত ৫ জন। তাঁদের মধ্য়ে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আৎও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানা এলাকা থেকে একটি মৃতদেহ নিয়ে নবদ্বীপ শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় একটি শববাহী গাড়ি। রাত ১২ টা নাগাদ নদিয়ার হাঁশখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকা দিয়ে ওই শববাহী গাড়িটে মৃত দেহ নিয়ে আসছিল, ঠিক ওই সময়তেই একটি পাথর বোঝাই লরি দাঁড়িয়েছিল। আচমকা দাঁড়িয়ে থাকা লরিটিকে সজোরে ধাক্কা মারে শববাহী ম্যাটাডোর। এর জেরে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন একাধিক যাত্রী। শববাহী গাড়িতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্য়ু হয়।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও মৃতদের আত্মীয়দের তরফে শক্তিগড় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী এবং নার্সদের থেকে কোনও রকম সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছে রোগীর পরিবার। তবে কী কারণে এতবড় দুর্ঘটনা হয়েছে, এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।