
ইছাপুরে তৃণমূল নেতা (Ichapur TMC Leader) খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক বিজেপি নেতা (BJP leader)। ধৃতের নাম বিজয় মুখোপাধ্যায় (Bijoy Mukherjee)। শনিবার উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শিপ্রা মজুমদারের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা (TMC Leader) গোপাল মজুমদার ওরফে সুশান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে প্রথমে ২ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা (Miscreants)। তাঁর ঘাড়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এরপর মৃত্যু (Death) নিশ্চিত করতে তাঁকে কোপানো হয় বলে অনুমান পুলিশের। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঠিক কী ঘটেছিল গতকাল?
প্রতিদিনের মতোই শনিবার রাত ৯টা নাগাদ স্থানীয় পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন গোপাল মজুমদার ওরফে সুশান্ত মজুমদার। তাঁর বাড়ির রাস্তায় একটা অংশে আলো নেই। সেই অন্ধকার এলাকাতেই প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিটি সম্ভবত লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর, ফের তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে সেখানেই পড়ে যান গোপাল মজুমদার। বাড়ির কাছেই এই ঘটনা ঘটার পর, তাঁকে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- ইছাপুরে খুন নোয়াপাড়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। পৌঁছান ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সিপি মনোজ ভার্মা। শুরু হয় তদন্ত। ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিল তৃণমূলের। কিছুদিন আগে নোয়াপাড়াতেই (Noapara) বিজয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুশান্তর গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই সময় বিজয় তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গতকাল রাতে প্রথমে বিজয়কে আটক করে পুলিশ। তারপর রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ব্যক্তি অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ট্রেন থেকে নামার সময় লাইনে পড়ার উপক্রম, মহিলা রেল পুলিশের তৎপরতায় বাঁচলেন প্রৌঢ়
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর পাল্টা দাবি, সত্তরোর্ধ্ব বিজয় মুখোপাধ্যায়ের হাই ব্লাড সুগার। তিনি চোখেও দেখতে পান না। দিন চারেক আগে তাঁর উপরেই হামলা হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে পুলিশ বাঁচিয়েছিল। আর এবার তাঁকেই ফাঁসিয়ে দেওয়া হল। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীরা কতজন ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।