আশিস মন্ডলঃ গত বছর করোনা মহামারীর কারণে শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়েছিল বসন্ত উৎসব। দীর্ঘদিন প্রস্তুতি নেওয়ার পর বাতিল হওয়ায় স্বভাবতই হতাশ ছিলেন পড়ুয়ারা। তাদের আশা ছিল এ বছরে দ্বিগুণ আনন্দে মাতবেন। সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়া তথা অধ্যাপক অধ্যাপিকারা অনেক আগে থেকে বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি নিলেও তারাও সম্পুর্ণ অন্ধকারে ছিলেন বসন্ত উৎসব কবে হচ্ছে তা নিয়ে। অবশেষে সোমবার বিকালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মঙ্গলবার উদযাপিত হবে বসন্ত উৎসব।
চূড়ান্ত গোপনীয়তায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যশালী বসন্ত উৎসব। তড়িঘড়ি নেওয়া এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই বিড়ম্বনায় পড়েছেন অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা। কারণ প্রস্তুতির জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় নেই, পাশাপাশি এবছর এভাবে বসন্ত উৎসব হওয়ায় তাদের অভিভাবকরাও বঞ্চিত হলেন বসন্ত উৎসব দেখা থেকে। এমনকি অনুষ্ঠানে ব্রাত্য থাকলেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রবীণ আশ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বভাবতই তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই ঘটনায়। বিগত কয়েক বছরে বসন্ত উৎসব ঘিরে পর্যটকদের যে উন্মাদনা দেখা গেছিল তাকে এড়ানোর জন্যই বসন্ত উৎসব নির্দিষ্ট দিনে করা হবে না বলে ঠিকই ছিল কর্তৃপক্ষের তরফে কিন্তু অংশগ্রহণকারী পড়ুয়াদেরকে বিষয়টি না জানানোয় তারাও সম্পুর্ণ ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল।
এই সিদ্ধান্তের ফলে এত কম সময়ে মঙ্গলবার তারা কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ মুখ না খুললেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধ্যাপক জানান, চলতি করোনা আবহে ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বসন্ত উৎসব। দিনে চিরাচরিত বসন্ত উৎসবে পাশাপাশি রাতে অনুষ্ঠিত হবে চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্য। সমগ্র অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণে। তবে এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার মুখ খোলেননি। করোনা সঙ্কট পুরোপুরি না কাটায় এই সিদ্ধান্ত বলে মত অনেকের।