রাজনীতির বাজার থেকে মুছে যাবে তৃণমূল, হুঙ্কার ভারতীর

  •  রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত কেশপুর 
  • জখম হয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষের বহু
  • ঘটনার পরই বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষ ও জাহাঙ্গির আলি গ্রেফতার
  • সন্ত্রাস কবলিত আনন্দপুরে প্রতিবাদী অহিংস মিছিল বিজেপির 

Asianet News Bangla | Published : Oct 16, 2019 6:30 PM IST / Updated: Oct 17 2019, 12:01 AM IST

গত কয়েকমাস ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ও আনন্দপুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে ৷ তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষের বহু রাজনৈতিক কর্মী জখম হয়েছেন ৷ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে ৷ এরপরই বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষ ও জাহাঙ্গির আলি সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এই পরিস্থিতিতে সন্ত্রাস কবলিত আনন্দপুরে প্রতিবাদী অহিংস মিছিল করলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ ৷ কয়েক হাজার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কানাশোল থেকে আনন্দপুর পর্যন্ত প্রায় দশ কিমি পদযাত্রা করেন তিনি৷

এদিন পদযাত্রা শেষে আনন্দপুরে তিনি একটি ছোট পথসভাও করেন ভারতী ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন, পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে গ্রামের যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।বর্ষীয়ান নেতা তন্ময় ঘোষকে সভা সেরে ফেরার পথে গ্রেফতার করে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মাওবাদীদের মতো করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে এমন জায়গায় রেখে দেওয়া হল যার ফলে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মানবাধিকার কমিশনের নিয়মানুসারে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে এবং তার পরিবারকে কেন গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানানো দরকার। রাজ্য প্রশাসন কোনওটাই মানছেনা ।পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের কোনও সক্রিয় সহযোগিতা পাচ্ছি না আমরা। 

অন্যদিকে কেশপুর আনন্দপুরের মতো জায়গাগুলিতে দিনের পর দিন পুলিশি অত্যাচার বেড়েই চলেছে। সবথেকে চিন্তার বিষয় মহিলাদের উপর অত্যাচার চরম ভাবে শুরু হয়েছে,যা আগে ছিল না। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এর থেকেও খারাপ অবস্থা। এসবের প্রতিবাদে আমরা থানার দিকে না গিয়েও গান্ধীজির জন্ম দিবস উপলক্ষে অহিংস পথে প্রতিবাদ করলাম৷ সেই সাথে স্থানীয় আক্রান্তদের নিয়ে সমবেদনা জানালাম। অহিংস পথে থাকতে বললাম তাদেরও। সেই সঙ্গে প্রশাসনকেও বার্তা দিলাম যে আমাদের সংযমের বাঁধ অতিক্রম করাতে বাধ্য করবেন না। এই সরকার মানুষের নৈতিক অধিকার,সুস্থ থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।মানুষের জনজোয়ার বেরিয়ে এলে কোনও প্রশাসনের সাধ্য থাকবে না তাদের আটকানোর।    

এই প্রতিবাদ সভার আগে ভারতী ঘোষ রামজীবনপুর থেকে বেশ কয়েক কিমি গান্ধী সংকল্প যাত্রাও করেন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ৷ রামজীবনপুর গান্ধী মূর্তির কাছ থেকে শুরু হয়ে চন্দ্রকোনা টাউন হয়ে ক্ষীরপাইযে শেষ হয় সেই যাত্রা। এদিন ২০ কিমি এই যাত্রায়  ভারতী ঘোষের সাথে ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য,প্রশান্ত বেরা সহ একাধিক বিজেপির নেতারা। সেখানে ভারতী ঘোষ বলেন, রাজনৈতিক দ্রব্য তৃণমূল,রাজনৈতিক বাজার থেকে অবলুপ্তির পথে। তাই ২০২১ এর আগে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। মানুষ তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলবে,তাই এই ভাবে বিজেপিকে দমানো যাবে না।  এদিন জিয়াগঞ্জ প্রসঙ্গে ভারতী ঘোষ বলেন, -জিয়াগঞ্জ নিয়ে নাটক করা হচ্ছে,যে উৎপল বেহারার কথা বলা হচ্ছে  তাকে দেখে,তার শারীরিক গঠন এতটাই  দুর্বল বলে মনে হয়। সে ওই পরিবারের তিনজন মানুষ খুন করল কেউ কিছু বুঝতে পারল না। এই তথ্যটাই গোলমেলে ,পুরোটাই গন্ডগোলের তথ্য,রাজ্য প্রশাসন ভালো গল্প সাজাতে পারেনি। 

Share this article
click me!