আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু কোথায় নাটের গুরু আনারুল। খুঁজে তো পাওয়া গেলই না। উল্টে গ্রেফতারি নিয়ে রাগে ফুঁসছে আনারুলের অনুগামীরা।
আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নির্দেশ পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আনারুলের বাড়ি পৌছয় পুলিশ।এদিকে গ্রেফতারির নির্দেশ শুনতেই ঘিরে ফেলা হয় তাঁর বাড়ি। কিন্তু কোথায় নাটের গুরু আনারুল। খুঁজে তো পাওয়া গেলই না। উল্টে গ্রেফতারি নিয়ে রাগে ফুঁসছে আনারুলের অনুগামীরা। এই মাত্র পাওয়া খবরে বহু চেষ্টার পর অবশেষে তারপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আনারুলকে।
'অনুব্রত ফাঁসানোর চেষ্টা করছে'- কিন্তু কোথায় নাটের গুরু আনারুল ?
প্রসঙ্গত, এদিন রামপুরহাটের ঘটনাস্থলে গিয়েই বলেন, 'অবিলম্বে আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। হয় আনারুল আত্মসমর্পণ করুক, নতুবা যেখান থেকে হোক, আনারুলকে গ্রেফতার করা হোক।' তারপর সেই নির্দেশ মতোই আনারুলের বাড়ি পৌছয় পুলিশ। কিন্তু রুখে দাঁড়ায় আনারুলের অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, 'আনারুল ভাল মানুষ। গ্রেফতার করা হলে ব্যপক প্রতিবাদ হবে।' অন্যদিকে অনুব্রতর নামে অভিযোগ তুলেছেন আনরুলের ভাইপো। তাঁর অভিযোগ অনুব্রত মন্ডল ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আনারুলের অনুগামীদের কথায়, যদি পুলিশ গ্রেফতার করতে আসে, তাহলে আমরা প্রতিরোধ করব। ইতিমধ্যেই আনারুলের বাড়ির চারিপাশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কিন্তু তখনও ধরা পড়েনি আনারুল। এই মাত্র পাওয়া খবরে বহু চেষ্টার পর অবশেষে তারপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আনারুলকে।
'আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, মিথ্য়ে অভিযোগ করছে গ্রামবাসীরা'- আনারুল হোসেন
এদিকে রামপুরহাটের গণহত্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে আনারুল হোসেন বলেছেন, 'আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। মিথ্য়ে অভিযোগ করছে গ্রামবাসীরা। আমি এখন আর কিছু মন্তব্য করছি না। আমি তো ছিলাম না ওখানে। আমার বাড়ি সন্ধিপুর। আর এটা নিশ্চিন্তপুর, অনেকদূর। উপপ্রধানের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমিই হাসপাতালে গিয়েছিলাম।হাসপাতাল থেকে থানা এসেছি। সিসিটিভিতে তাঁর প্রমাণ আছে। কেউ দেখাক ওই সময়ে আমি গ্রামে গিয়েছিলাম। যদিও আনারুলের সাফাই ধোপে টেকেনি।' প্রসঙ্গত, ভাদু শেখ খুনের পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন আনারুল হোসেন। তিনি সেখানে বার বার শান্তির বার্তা দেন। কিন্তু রাত গড়াতেই গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। হত্যালীলা পরিণত হয় গ্রামে। মৃত্যু হয় ৮ জনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, 'ব্লক সভাপতি আনারুলের নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে। ভাদু খুনের আসামিরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যালীলা চালিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।'
দমবার পাত্র নন আনারুল
যদিও অভিযোগ পেয়ে দমবার পাত্র নন আনারুল। তিনি উলটে আগুন লাগানোর ঘটনাকে সত্যি বলে দাবি করে নিজের উপর থেকে বিপদ কাটাতে চাইছিলেন। এদিকে ততক্ষণে সাংবাদিকদের সামনে বীরভূমের তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল একপ্রকার বলেই ফেলেছেন যে, টিভি বাস্ট করে আগুন লেগেছে। যদিও তা ধোঁপে টিকতে দেননি নিজের দলেরই আনারুল। 'টিভি কিংবা গ্যাস বাস্ট করে নয়, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে আট জনের', রামপুহাটকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যকে নস্যাৎ করে জানান তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন।