বিজেপি-র এই কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি জেলা সভাপতির দাবি, ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ বিজেপির প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন ড্রপ বক্সের মাধ্যমে।
কলকাতা পর্ব মিটতেই এবার ভোটের হাওয়ার উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে জেলার মাটি। যে কোনও জিনই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে জেলার পুরভোটের(Municipal Election) দিনক্ষণ। আর সেই কারণেই এখন থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক-বিরোধী প্রতিটা রাজনৈতিক দলই। এমতাবস্থায় পুরসভায় প্রার্থী খুঁজতে ড্রপ বক্স চালু করল বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপি(Bankura organizational district BJP) নেতৃত্ব। তবে এই নিয়ে আবার কটাক্ষও শানাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। দু’পক্ষের বাকযুদ্ধে জমেও উঠেছে জেলার রাজনৈতিক তরজা। ড্রপ বক্স(Drop Box) করে বিপির বিশেষ কোও লাভ কিছু হবে না বলেও কটাক্ষ শানিয়েছে শাসক শিবির। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ বাঁকুড়া শহরের(Bankura Town) নতুন গঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে ড্রপ বক্স উদ্বোধন করেন বিজেপি(BJP) জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র। মঙ্গলবার থেকেই ওই ড্রপ বক্সে ইচ্ছুক প্রার্থীরা দলীয় কার্যালয়ে এসে কাগজ জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আবেদন করতে পারবেন বলে দলের তরফে জানানো হয়।
এদিকে বিজেপি-র এই কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি জেলা সভাপতির দাবি, ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ বিজেপির প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন ড্রপ বক্সের মাধ্যমে। আগামীতে বহু মানুষ প্রার্থীর জন্য আবেদন করবেন বলে বাঁকুড়া জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে ভালো মুখ, এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে এমন প্রার্থীদের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। ড্রপ বক্সের আবেদন স্ক্রুটিনি করে তা খতিয়ে দেখে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষনা করা হবে।
আরও পড়ুন-ছাপিয়ে গেল বিধানসভার রায়, ৭ কেন্দ্রেই লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা
এদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে বিজেপির ড্রপ বক্সের মাধ্যমে প্রার্থী বাছায় তাতে দলীয় কর্মীদের একটা অংশ প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। এর ফলে টিকিট না পাওয়া কর্মীরা যারা মুখিয়ে ছিলেন প্রার্থী হওয়ার জন্য তারা ভোটের ময়দানে নামবেন কিনা এই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ড্রপ বক্স সিস্টেমকে কটাক্ষ করে তৃনমূলের দাবি, বিজেপির সাথে লোক নেই তাই প্রার্থী খুজতে ড্রপ বক্স কে হাতিয়ার করতে হচ্ছে। কিন্তু এই ড্রপ বক্সেও প্রার্থী মিলবে না গেরুয়া শিবিরের, এমনটাই মত ঘাসফুল শিবিরের। এদিকে কলকাতা পুরভোটে(Kolkata Municipal Election) ঘাসফুল ঝড়ে কার্যত ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। ১৪৪টি আসনের মধ্যে ১৩৪টিই রয়েছে তৃণমূলের দখলে। সেখানে ৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ২টি করে আসন পেয়েছে বাম ও কংগ্রেস।