উত্তরবঙ্গ থেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করল বিজেপি। সোমবার সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সফর দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যাবতীয় কর্মসূচি ঠিক হল। একুশের নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে বদ্ধ পরিকর বিজেপি। এদিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আগাগোড়া মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শিলিগুড়ির সেবক রোডে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, বাংলায় বর্তমানে চূড়ান্ত অরাজগতার সরকার চলছে। একশো দিনের কাজ থেকে ঘূণিঝড় আমপান। সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের কাজে বাধা দিয়েছে তৃণমূল সরকার। আমাপান মোকাবালিয়া কেন্দ্র যে পরিমান টাকা রাজ্যকে পাঠিয়েছিল। তার সঠিক ব্যবহার হয়বনি বলে অভিযোগ করেছেন সায়ন্তন বসু। তাঁর আরও অভিযোগ, বাংলায় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের সময় উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্বে ছিলেন জেপি নাড্ডা। তখন থেকেই দলীয় সাংগঠনিক স্তরে কাজ করে ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেছে বিজেপি। তৃণমূলকে অনেকটাই পিছনে ফেলে উত্তরবঙ্গে অভাবনীয় ফল করেছে বিজেপি। এবার একুশের নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সাত জেলার ৫৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে কড়া নজর দিচ্ছে বিজেপি। সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জেলা সভাপতি, সম্পাদক সহ জেলার শীর্ষ স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করছেন বলে জানালেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
সায়ন্তন বসুর আরও অভিযোগ, দুর্গাপুজোয় হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করবে না রাজ্য সরকার। পুজো ক্লাবগুলিকে সরকারি অনুদান নিয়ে আদালতের নির্দেশ রাজ্য পুলিশ সঠিকভাবে পালন না করে ভাউচার তৈরি করতে ব্যস্ত থাকবে বলে দাবি করলেন সায়ন্তন বসু। পাশাপাশি. আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। ততদিন পর্যন্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তৃণমূল সরকারের হাতে অত্যাচারিত হতে হবে বলে দাবি সায়ন্তনের।