সাংসদ হওয়া দূরে থাক, জনপ্রতিনিধি না হয়েও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন রাজ্য বিজেপি-র কয়েকজন নেতা। বাকিরাও অনেকে এমন নিরাপত্তা পেতে ব্যাকুল। তার মধ্যেই ব্যতিক্রমী হিসেবে দেখা দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দূরে থাক, সাধারণ বাসে আর পাঁচজন যাত্রীর সঙ্গে বসেই যাতায়াত করতে দেখা গেল তাঁকে।
বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের জন্য কলকাতায় আসেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে নিজের কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে একটি বেসরকারি বাসে উঠে পড়েন সুকান্তবাবু। সেখান থেকেই রওনা দেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
সাংসদ হিসেবে বাসে কোনও বাড়তি সুবিধা চাননি তিনি। ভোররাতে আর পাঁচজন যাত্রীর সঙ্গে ঠেসাঠেসি করে অপরিসর আসনে বসেছিলেন সুকান্তবাবু। যদিও নিজের এই বাসযাত্রাকে ব্যতিক্রমী কিছু মানতেই নারাজ বালুরঘাটের সাংসদ।
আদতে বালুরঘাটেরই বাসিন্দা সুকান্ত মজুমদার গত বছর লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে হারিয়ে সাংসদ হন। বালুরঘাটের সাংসদের পরিচিতরা জানাচ্ছেন, নিজের শহরেও সাধারণ জীবনযাপনই করেন সুকান্তবাবু। সাংসদ নিজেও জানাচ্ছেন, 'আমি সাধারণ জীবনযাপনেই অভ্যস্ত। যাঁরা বালুরঘাটে আমাকে চেনেন, তাঁরা জানেন। কিন্তু কলকাতায় আমায় যাঁরা নতুন দেখছেন তাঁদের হয়তো অবাক লাগছে। আমার বাসে চড়তে কোনও অসুবিধাই হয় না।'
শুধু বাস নয়, বালুরঘাটের সাংসদ যখন দল বা ব্যক্তিগত কাজে অন্যত্র যান, তখন শহরতলির ভিড়ে ঠাসা ট্রেনেও চড়তে অভ্যস্ত। এমন কী, কলকাতায় এলে রাজ্য সরকারের দেওয়া নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকেও নিয়ে আসেন না সুকান্তবাবু। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি-র রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে, সেই সময় বিজেপি-র বালুরঘাটের সাংসদের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। বালুরঘাটের সাংসদকে দেখে তাঁর বিরোধী দলগুলি না হোক, তাঁর নিজের দলের নেতারাই শিক্ষা নেন কি না, সেটাই দেখার।