জয় শ্রীরাম বলায় পিটিয়ে খুন, উত্তপ্ত নবদ্বীপ, এলাকায় মুকুল

  • জয় শ্রীরাম বলায় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
  • বিজেপি সমর্থককে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
  • বুধবার রাতে আহত অবস্থায় উদ্ধার যুবক
  • মৃতদেহ নিয়ে অবরোধ বিজেপি-র
     

debamoy ghosh | Published : Jul 6, 2019 12:45 PM IST

জয় শ্রীরাম বলার জেরে এবার এক বিজেপি সমর্থককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল নদিয়ার নবদ্বীপে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। মৃত যুবকের নাম কৃষ্ণ দেবনাথ (৩১)। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিকেলে মৃত যুবকের বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আইনি ছাড়পত্র পাওয়ার পরে এ দিন ফের নদিয়ায় গেলেন বিজেপি নেতা।  

নদিয়ার নবদ্বীপ থানার স্বরুপগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ দেবনাথ কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকতেন। প্রায় দেড় বছর পর গত বুধবার তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। অভিযোগ, বুধবার রাতেই স্থানীয় কয়েকজন যুবক কৃষ্ণকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর রাতে স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে থেকে কৃষ্ণ দেবনাথকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁর পরিবার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার কৃষ্ণকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই শুক্রবার মৃত্যু হয় ওই যুবকের। 

ওই যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তার সঙ্গে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার ভোরে কৃষ্ণ দেবনাথের মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মৃতকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে স্থানীয় বিজেপি নেতারা মৃতদেহ নিয়ে স্বরূপগঞ্জে রাস্তা অবরোধ করেন। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় বিজেপি জিন্দাবাদ ও জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে। 

যদিও এই ঘটনায় জড়িতে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, পরিচিত কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বিবাদ এবং মারামারির জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। মৃতের পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ, গোবিন্দ দেবনাথ এবং শংকর দেবনাথ নামে স্থানীয় তিন যুবক কৃষ্ণকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এই ঘটনায় ওই তিনজনের নামে নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত কৃষ্ণ দেবনাথের পরিবার। যদিও শনিবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Share this article
click me!