কোনও ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সূক্ষ্ম আক্রমণে বিঁধতে ছাড়ছে না প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে নবনিযুক্ত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রত্যেকেই টার্গেট করে রেখেছেন মমতাকে।
দুর্গাপুজোয় ইউনেস্কোর স্বীকৃতি থেকে রাজ্যে বোমা(Bomb) উদ্ধার। আসন্ন পুরভোটের (Municipal Election) আগে কোনও ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(CM Mamata Banerjee) সূক্ষ্ম আক্রমণে বিঁধতে ছাড়ছে না প্রধান বিরোধী দল বিজেপি(BJP)। গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে নবনিযুক্ত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রত্যেকেই টার্গেট করে রেখেছেন মমতাকে।
'ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির' তালিকায় জুড়েছে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) নাম। ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ১৬ তম অধিবেশন। এই অধিবেশনেই দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO) ।
এই ঘটনাকে কার্যত নিজেদের কৃতিত্ব বলে দাবি করেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের পর এবার দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ বলেন দুর্গাপুজোর মত উৎসবকে আরও প্রসারিত করতে সদা সচেষ্ট থাকবে ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক ভারতীয় জনতা পার্টি।
অন্যদিকে, রাজ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এদিন টুইট করে বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখন গোয়াতে ব্যস্ত, তখন বর্ধমানে এসবিএসটিসি বাসে ২০টি বোমাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ সরফরাজ আনসারিকে। সুকান্ত মজুমদারের দাবি রাজনৈতিক লাভের জন্য, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের অপরাধীদের ছাড় দিয়ে রেখেছেন। যা বাংলার শান্তি শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বড়সড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ ঘাম ঝরাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বের দরবারে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তা সফল হলেও তার বার্তার আগেই এদিন সেই ব্যাটন তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য এটি খুবই গর্ব ও আনন্দের বিষয়। কলকাতার দুর্গাপুজোর অভিজ্ঞতা প্রত্যেক ভারতীয় থাকা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাংলাতেই তিনি বার্তা দেন। সঙ্গে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির কথাও উল্লেখ করেন।
এর বেশ কিছুক্ষণ পরে বার্তা দেন মমতা। তিনি প্রথমেই বলেন এই ঘটনা গোটা বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে গর্বের। তিনি আরও বলেন বিশ্বজুড়ে প্রতিটি বাঙালির কাছে দুর্গা পুজে একটি উৎসবের চেয়ে অনেক বেশি। এটি একটি আবেগ যা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক করে। তিনি আরও বলেন এখন দুর্গাপুজো এখন থেকে দুর্গাপুজো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হল। এই সম্মানে বাংলার প্রত্যেকটি বাসিন্দা অত্যান্ত গর্বিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।