গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যক্তি পিকে এবং আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের ফাটল তৈরি হওয়ার খবর ছড়িয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সম্পর্কে এবার মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamamta Banerjee) সম্পর্কে এবার মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যক্তি পিকে এবং আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের ফাটল তৈরি হওয়ার খবর ছড়িয়েছে। এবার সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে মমতা ও তৃণমূল প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন প্রশান্ত কিশোর Prashant Kishor )।
প্রশান্ত কিশোর মমতা ও তৃণমূল প্রসঙ্গে ওই সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, 'ওই সব খবর দেখে আমি শুধু হেসেছি। আমার সঙ্গে দিদির সম্পর্ক যেমন ছিল তেমনই আছে।কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে তো কিছু করতে হবে।তাই হয়তো এসব করছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বলা হল, দিদি এবং আমার মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারপর বলা হল, দিদি এবং অভিষেকের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তারপর বলা হল, অভিষেক এবং আমার সঙ্গেই দিদির দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এরপর খানিকটা তোপ দেগেই বললেন, তিনি দলের সর্বোচ্চ নেত্রী হিসেবে সংগঠনকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। এনিয়েও সংবাদ মাধ্যমে নতুন করে গল্প তৈরি হয়েছে।'প্রশান্তের দাবি, ২০১৯ সালের জুনমাসে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের আইপ্যাকের কাজ করার চুক্তি হয়। প্রশান্ত কিশোরের কথায়, 'তারপর থেকেই সংবাদমাধ্যমে আইপ্যাক এবং আমাকে টার্গেট করে খবর হয়েছে। বলা হয়েছে, আমাদের জন্যই নাকি একের পর এক নেতা তৃণণূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছে। কিন্তু ফল ঘোষণার দিনই সব উত্তর পেয়ে গিয়েছে। আমাকে কিছু বলতে হয়নি।'
আরও পড়ুন, 'রাস্তা আটকে আন্দোলন বরদাস্ত করবো না', আনিস খুনের কাণ্ডে কড়া বার্তা মমতার
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) রাজ্যে বেশ ভালো ফল করেছিল বিজেপি। আসলে বাংলায় যেখানে বিজেপির (BJP) অস্তিত্বই ঠিক মতো ছিল না সেখানে তাদের এই ফল দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরপরই একুশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে ডাক পড়ে প্রশান্ত কিশোরের। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে জেতানোর দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল আইপ্যাক। টানা দুইবছর তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করেছে আইপ্যাক। যদিওসম্প্রতি প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আই-প্যাকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে জোর জল্পনা চলছে রাজ্যজুড়ে। সেই জল্পনার আগুনই উস্ক দিল গোয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধানের বার্তা। এই রাজ্যেও পুরসভা ভোটে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যস্তরের নেতারা। সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরও টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনফলো করে দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি আরও মুখ্যমন্ত্রীকে ফলো করতে শুরু করেন। তবে দুটি সংগঠনের মধ্যে যে দূরত্ব যে বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।