'আমাকে ভয় পায় তাই এজেন্সি দিয়ে সমস্যা করে', বিজেপি ও সিপিএমকে একযোগে নিশানা মমতার

বিজেপি তাঁকে ভয় পেয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি আরও বলেন, তাঁর ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিজেপি। কথা প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,  ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙার চেষ্টা তিনি বানচাল করে দিয়েছেন।

Saborni Mitra | Published : Aug 14, 2022 2:26 PM IST

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বেহালায় গিয়ে বিজেপি-র সঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেসকে একসঙ্গে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন এই রাজ্যের একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার জন্য বিজেপি যে চক্রান্ত করছে। আর সেটাই তৃণমূল কংগ্রেস হাতেনাতে ধরছে। কিন্তু তারপরেও কোনও সিবিআই, ইডির তদন্ত হয়নি। বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের টার্গেট করছে। বিজেপি তাঁকে ভয় পেয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি আরও বলেন, তাঁর ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিজেপি। কথা প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,  ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙার চেষ্টা তিনি বানচাল করে দিয়েছেন। এটা পুরোপুরি বাংলার কৃতিত্ব। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন বলেন কেন্দ্রীয় চায়না এই দেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা থাকুক। ছোট দলগুলিকে তুলে দিতে চাইছে । সিপিএম কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও দল থাকুক এটা চায়না বিজেপি। মমতা আরও বলেন সারদাকাণ্ড শুরু হয়েছিল সিপিএম-র আমলে । কিন্তু একজন সিপিএম নেতাকেও তলব করেনি ইডি বা সিবিআই। তিনি আরও বলেন 'শুধু আমার দলের নেতাদের নয়। কেন্দ্রীয় সরকার আমার অফিসারদেরও বিরক্ত করছে। আমার আট জন অফিসারকে ডেকেছে।' কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারকে বিতর্ক করা। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন বিজেপির নেতারা দিল্লি যাচ্ছে আর বলছে ৫০ জন নেতার নাম দিয়েছে। কেউ বলছে ২০০ জন নেতার নাম দিয়ে এসেছি। তাদের গ্রেফতার করা হবে।  অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন  'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় চার চুরি করেছেন। কিন্তু আম বিশ বছর ধরে চালই খাই না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শুভেন্দুকে নাম না করে বাংলার মীরজাফর বলেও অভিযোগ করেন। 


এদিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক নিয়েও সাফাই দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, দিল্লিতে তিনি রাজ্য়ের স্বার্থেই যান। সেখানে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও যায়। সিপিএম-এর সীতারাম ইয়েচুরিও যায়। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রেই বলা হয় 'সেটিং করতে দিল্লি গেছেন মমতা'। এই অভিযোগ অস্বীকার করে মমতা বলেন তিনি রাজ্যের স্বার্থেই দিল্লি যান। কেন্দ্র রাজ্যকে বঞ্চিত করে করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে তাই রাজ্যের হক চাইতেই তিনি দিল্লি গেছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্র সরকার ব্যাঙ্ক লুঠ করছে। আর স্বাধীনতার আগে পতাকা লাগাতে বলছে। দেশের ইতিহাস মুছে দিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু সেগুলির প্রতিবাদ করছে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাওয়াতেই এজেন্সি দিয়ে উৎপাত করছে কেন্দ্র।' তিনি আরও বলেন, 'একজন কেষ্টকে গ্রেফতার করা হলে হাজার হাজার কেষ্ট তৈরি হবে রাস্তায়।' মমতা এদিন বলেন কেষ্ট গরু পাচারের টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু বর্ডারের দায়িত্ব রয়েছে বিএসএস। আর বিএসএফ-এর মন্ত্রী হলেন অমিত শাহ। তাই  গরু পাচারের দায়িত্বও তাঁর। 

 মমতা এদিন  সিপিএমকেও আক্রমণ করে বলেন, সিপিএমের নেতারা তৃণমূলের নেতা কর্মীদের বাড়ি গাড়ি সম্পত্তির হিসেবে নিচ্ছে। কিন্তু সিপিএমের নেতাদেরও প্রচুর বেনামে সম্পত্তি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন সেইসব কেলেঙ্কারির ফাইলই তিনি খুলবেন।

Share this article
click me!