রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের তরফেই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় কন্ডোম। যদিও প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খালি পড়ে রয়েছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণের বাক্স। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়েই ফিরতে হচ্ছে অনেককেই। ঘটনায় অনেকেই জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে ধরেছেন।
যদিও, হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ দাবি, বিনামূল্যে কন্ডোম মেলায় অনেকেই ব্যাগ ভর্তি করে তা নিয়ে চলে যান। তারই জেরে কন্ডোমের বাক্স ফাঁকা পড়ে থাকে অনেক সময়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফে জন্ম নিয়ন্ত্রনের একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তারই অংশ হিসেবে বিনামূল্যে নিরোধ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ অন্যদিকে, যৌনরোগ প্রতিরোধেও বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণ করা হয় বিভিন্ন হাসপাতালের তরফে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং আউটডোরে দু'টি বাক্স থেকে বিনামূল্যে কন্ডোম পাওয়া যেত। যেখানে নিয়ম করে কন্ডোম রাখার কথা জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যদিও, বিগত এক সপ্তাহ ধরে সেই বাক্স দু'টি খালি পড়ে রয়েছে। ফলে অনেকেই কন্ডোম নিতে গিয়েও ফিরে আসেন।
কন্ডোম নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাওয়া এমনই এক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রায় দিনই নিরোধ পাওয়া যায় না জেলা হাসপাতালের এই বাক্স দু'টিতে। এমন কী, হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে কিছু বলতে গেলে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, 'নিয়ম করেই নিরোধ রাখা হয় প্রতিটি বাক্সে। তবে কেন তা নেই বলতে পারব না৷ খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে কন্ডোম হাসপাতালে মজুত থাকে সব সময়। তবে এক্ষেত্রে কী হয়েছে, তা এখনই স্পষ্ট নয়।'