কিছুদিন আগেই জেলা কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি। এবার পুরভোট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন এই বর্ষীয়ান বাম নেতা।
উত্তরবঙ্গে বাম আন্দোলনের(Left Movement in North Bengal) কথা উঠলেই যার কথা সাম্প্রতিক কালে প্রথমেই ওঠে তিনি অশোক ভট্টাচার্য। সিপিএম সরকারের(CPIM Government) আমলে পুরমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন জনপ্রিয় বাম নেতা। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের(CPM Leader Ashok Bhattacharya)। আর তাতেই যেন ভেঙে পড়তে শুরু করেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই জেলা কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি। এবার পুরভোট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন এই বর্ষীয়ান বাম নেতা। সেই সঙ্গে শুক্রবার উত্তরবঙ্গের(North Bengal) একটি জনপ্রিয় দৈনিকে বেরোনো সংবাদের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে করলেন ফেসবুক(Facebook) পোস্ট। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার রাজনৈতিক চর্চা।
সহজ কথায় শিলিগুড়ি পুরনির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন না অশোক ভট্টাচার্য। এদিন একথাই আরও একবার জোরের সঙ্গে বলেন দিলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। ইতিমধ্যেই তিনি এই সিদ্ধান্ত আলিমুদ্দিনেও জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানান। এদিকে এটা শোনা যাচ্ছিল কোনও ওয়ার্ড থেকে অশোক ভট্টাচার্য দাঁড়াতে পারেন এমনকী জয়ের সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে সেই বিষয়ে নাকি সিপিএম খোঁজ খবর শুরু করে দিয়েছে। এদিন সংবাদমাধ্যের মুখোমুখি একথা সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর দাবি, “আমার দলকে আমি জানিয়ে দিয়েছি যে আমি দাঁড়ব না। আমার দল আমার জন্য আসন খুঁজছে না। এরকম কোনও প্রশ্ন নেই। ওয়ার্ড ভিত্তিক কাজ চলছে। তবে আমার জন্য আলাদা করে কিছু হচ্ছে না। কারণ আমি আর আগ্রহী নই।”
অন্যদিকে এদিনের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আজকের উত্তর বঙ্গ সংবাদ পত্রে আমাকে নিয়ে শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন।আমার আসন খোজার কোন প্রশ্নই নেই,কারন আমি এই নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী নই তা যেখানে জানাবার তা ইতি পূর্বেই জনিয়ে দিয়েছি। তবে এই পৌর নির্বাচনে বামফ্রন্তের জয় কে সুনিশ্চিত করতে আমার সর্ব শক্তি দিয়ে লড়াইয়ের সামনের সারিতে আমি অবশ্যই থাকবো। তবে আমি থাকবো nonplaying । কিছু বিভ্রান্তি দূর করতেই আমার এই বিবৃতি।” তাঁর এই পোস্ট নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী অশোক ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের আঙ্গিক নিয়েও আলোচনা শুরু করেছেন অনেকে। তবে দলের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি।