বাংলাতেও আসছে ফণী, নবান্নে জরুরী বৈঠক - উপকূলে জারি হল সতর্কতা

বৈশাখের দাবদাহের মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টির কামনা করছিলেন সবাইই। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে এবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে দিঘা ও মন্দারমণির সমুদ্র উপকূলে জারি করা হল সতর্ক বার্তা।

 

amartya lahiri | Published : May 2, 2019 9:16 AM IST

ফণীর মোকাবিলা কীভাবে করা যায় এই নিয়ে ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার নবান্নে এক জরুরি বৈঠক করেছে রাজ্য প্রশাসন। তারপরই দিঘা ও মন্দারমণিতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক-বার্তা প্রচার করা শুরু হয়েছে। ২ মে থেকে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার বিষয়ে এবং মৎসজীবিদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাঁরা মাঝসমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরও বুধবার বিকেলের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে। সতর্কতা রয়েছে হুগলি বন্দরেও।

দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনাতেই ফণীর প্রভাব বেশি পড়ার আশঙ্কা। সেই সঙ্গে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামের জেলা প্রশাসনকেও
ভারী অথবা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের মোকাবিলায় তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে আপাতত ফণী বঙ্গোপসাগর ধরে ক্রমে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ফণী। তারপর এগোবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস, উপকূল ছোঁয়ায় সময় ফণীর বেগ হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার, যা এর আগে প্রবল ক্ষতি করা আয়লার থেকেও ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

 

Share this article
click me!