নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ল্যান্ডফল। ভয়ানক ছবি উপকূলবর্তী এলাকাতে। একে ভরা কোটাল, আর ওপর ঝড়ের দাপট। ফ্রেজারগঞ্জ থেকে শুরু করে দিঘা, ভয়ানক ছবি ধরা পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। সমুদ্র একপ্রকার উঠে এসেছে রাস্তায়। ঝড়েরে দাপট শুরু হয় মধ্যরাত থেকেই। সকালে যশের ল্যান্ডফলের আগেই একাধিক এলাকা প্লাবিত। এরপরই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আছড়ে পড়ে যশ।
আরও পড়ুন- যশ আছড়ে পড়তেই বাড়ছে আশঙ্কা, ফারাক্কা সংলগ্ন 'গঙ্গা' পাড়ে ব্যাপক সতর্কবার্তা
কলকাতা আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার বেলাতেই স্থলভাগে যশের প্রবেশ করার কথা ছিল। তবে তা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই আছড়ে পড়ে ওড়িশার ধারমার উত্তরে। পাশাপাশি মন্দারমণি থেকেও মেলে একই পরিস্থিতির ছবি। পূর্ব মেদিনীপুরে ইতিমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে ৫১ টি বাঁধ। নবান্ন থেকে সর্বক্ষণ খবর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যশ প্রবেশের আগে ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রায় ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
এদিন আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঠিক ৯ টা ১৫ মিনিটে ঝড়ের কেন্দ্রবিন্দু অর্থাৎ সাইক্লোন আই, তা প্রবেশ করেছে স্থলভাগে। ধারমা ও বালেশ্বরে ল্যান্ডফল। এরপরই চারতলা বাড়ির সমান ঢেউ উঠে সমুদ্রে, মুহূর্তে প্লাবিত হয় একের পর এক গ্রাম থেকে শহর। এই ছবি এর আগে ধরা পড়েনি দিঘা-মন্দারমণিতে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযাযী এখনও দুই ঘণ্টা তান্ডব চালাবে যশ।