থানা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে 'মস্তান মশা', মগরায় ডেঙ্গুতে কাবু বড়বাবু থেকে কনস্টেবল

Published : Nov 24, 2019, 05:36 PM IST
থানা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে 'মস্তান মশা', মগরায়   ডেঙ্গুতে কাবু বড়বাবু থেকে কনস্টেবল

সংক্ষিপ্ত

  তাঁদের নাম শুনে ভয়ে চম্পট দেয় বাঘা অপরাধী থেকে মস্তান শেষমেশ ডেঙ্গু জ্বরে  কাবু অবস্থা মগরা থানা থেকে ফাঁড়ির একাদিক পুলিশ কর্মী যার মশা ভিড় বাড়ালেও প্রায় ফাঁকা অবস্থা থানার।  ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু মশার কামড়ে আক্রান্ত  মগরা থানার ওসি প্রশান্ত চ্যাটার্জি

তাঁদের নাম শুনে ভয়ে চম্পট দেয় বাঘা অপরাধী থেকে মস্তান। শেষমেশ ডেঙ্গু জ্বরে  কাবু অবস্থা মগরা থানা থেকে ফাঁড়ির একাদিক পুলিশ কর্মী। যার মাশা ভিড় বাড়ালেও প্রায় ফাঁকা অবস্থা থানার। 

ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু মশার কামড়ে আক্রান্ত  হয়েছেন মগরা থানার ওসি প্রশান্ত চ্যাটার্জি । জেলার ডাকাবুকো পুলিস অফিসার বলেই পরিচিত এই পুলিশ অফিসার । দীর্ঘ ১৫ বছরের চাকরি জীবনে অনেক চোর , গুন্ডা, বদমাশকে সায়েস্তা করেছেন । কিন্তু সামান্য মশার হাতে আক্রান্ত হবেন এটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ।  

গত ১৯ তারিখে তাঁর প্রবল জ্বর হয় । যার ফলে তাঁর এলাকার সবচেয়ে বড় ইভেন্ট বাঁশবেড়িয়া কার্তিক পুজোর নিরঞ্জনের দিনও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন । রক্ত পরীক্ষার পর তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে । বর্তমানে তিনি কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন । আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল । শুধু ওসিই নয় , ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বাঁশবেড়িয়া মিল ফাঁড়ির  বেশ কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার এবং কনস্টেবল । 

বাঁশবেড়িয়া মিল ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজিত রায় এ খবর জানিয়ে বলেন, কনস্টেবলররা ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। সিভিকদের মধ্যে  সৃজীব  নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এখনও মগরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন । আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে খোদ পুলিস আবাসনে। তাই কয়েক দিন ধরেই এখন থানা চত্বরে আগাছা পরিষ্কারের কাজ চলছে । ব্লিচিং পাওডার , ফ্লিট , কেরোসিন প্রত্যেক দিন ছড়ানো হচ্ছে । মগরা গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপপ্রধান রঘুনাথ ভৌমিক জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো যা যা করার সব করা হচ্ছে । জানা গেছে, মূলত মগরা থানার বাঁশবেড়িয়া এলাকার কলবাজার এলাকাতেই ডেঙ্গুর আতঙ্ক বেশি ছড়িয়েছে।

রাজ্য়ের সাম্প্রতিক পরিসংখ্য়ান বলছে, ইতিমধ্য়েই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি যে মহামারির দিকে এগোচ্ছে তা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে রাজ্য সরকার। কলকাতা পুরসভার তরফে পরিত্যক্ত বাড়িতে জমা জল খুঁজে দেখতে ইতিমধ্য়েই ড্রোনের ব্য়বস্থা করেছে পুরসভা। বলা হয়েছে, নিজেই জলে লার্ভা খুঁজে বের করবে ওই ড্রোন। জমা জল পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে পাল্টা সেখানে কীটনাশক ছড়াবে ড্রোন। কিন্তু তাতেও ডেঙ্গুর মশা ধ্বংস হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।  

PREV
click me!

Recommended Stories

SIR-এর মধ্যেই কী করে নাম তুলবেন নতুন ভোটার ও বাদ পড়া ভোটাররা? রইল নতুন আপডেট
Suvendu Adhikari: ‘মেসিকে দিয়ে খেলা হবে করতে গিয়ে উল্টো খেলা হয়ে গেল!’ মমতাকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু