ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রাজ্য বাজেটেও উল্লেখ ছিল। সেই সমতই বৃহস্পতিবার বীরভূমে শুরু হয়ে গেল দুয়ারে রেশন প্রকল্প। এই প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বললে খুব একটা ভুল হবে না। একের পর এক জনসভায় এই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এলেই চালু হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হল দুয়ারে রেশন। প্রথম দিনে একশো জন গ্রাহককে রেশন সামগ্রী দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে সারা জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে বলে জানান জেলা শাসক বিধান রায়।
ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন সামগ্রী। সেই প্রতিশ্রুতি মতো জেলা প্রশাসন একজন রেশন ডিলারকে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো সিউড়ি হাটজন বাজারের রেশন ডিলার স্বপন কুণ্ডুকে দিয়ে এদিন পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু করা হয়। এদিন এলাকার কলোনি পারার্য যুব সংস্থা এবং হরিসভা পাড়ায় ক্যাম্প করে রেশন দেওয়া হয়। ১০২ জন গ্রাহক তাদের রেশন সামগ্রী নিয়ে যান। কয়েকজনকে বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হয়। স্বপনবাবু বলেন, “তার কাছ থেকে ফকিরপাড়া, হাটজনবাজার, কলোনি, কো-অপারেটিভ কলোনির গ্রাহকরা রেশন সামগ্রী নেন। মোট গ্রাহক সংখ্যা ২৪০০। এদিন ৪০০ গ্রাহকের জন্য একটি ছোটো লরিতে চাপিয়ে রেশন সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়েছেন মাত্র ১০২ জন”। সিউড়ি খাদ্য নিয়ামক সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আমরা দুয়ারে রেশন পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করলাম। আসা করছি আমরা সফল হব”।