কলকাতার সোনাগাছি এলাকায় বহু বছর ধরেই চলছে যৌনকর্মীদের দুর্গা পুজো। এবার সেই পথেই হাঁটলেন দুর্গাপুরের পতিতাপল্লির বাসিন্দারাও। প্রথমবার দুর্গাপুজো আয়োজনে এখন সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
বলা হয় 'পতিতালয়ে যাঁরা যান, তাঁরা তাঁদের জীবনের সঞ্চিত সমস্ত পুণ্য সেখানেই ফেলে আসেন।' বহু মানুষের পুণ্যে পতিতালয়ের মাটি পরিপূর্ণ। এই কারণেই দুর্গা পুজোর মতো পবিত্র কাজে নিষিদ্ধপল্লির মাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
দুর্গাপুরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাদারোড এলাকার দুর্বার সমিতির সদস্যাদের উদ্যোগে প্রথমবার আয়োজিত হতে চলেছে দুর্গোৎসব। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে মা দুর্গার আরাধনায় সক্রিয় ভুমিকা পালন করছেন সবাই। দুর্গাপুর দুর্বার সমিতির একজন কর্মী জোৎস্না বসুর কথায়, 'আমাদের যৌনপল্লির মাটি নিয়ে গিয়ে মা দুর্গার মুর্তি তৈরির কাজ হয় অথচ আমরাই মায়ের পুজো থেকে বিরত থাকি। আমাদের সন্তানেরাও কিছু না বুঝেই এত বড় আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।কলকাতা সোনাগাছিতে বহুবছর ধরেই দুর্গোৎসব পালিত হয়।তাই এত বছরের বঞ্চনার বাঁধন কাটিয়ে আমরাও বাঙালির মহোৎসব দুর্গাপূজোর আয়েজন করেছি।'
দুর্গাপুর শহরের এই নিষিদ্ধপল্লিতে মোট ছ'শো যৌনকর্মী থাকেন। সবাই মিলেই পুজোয় অংশগ্রহণ করছেন। ক্ষমতা অনুযায়ী চাঁদা দিয়েছেন সবাই। প্রথম বছর পুজোর বাজেট এক লক্ষ দশ হাজার টাকা। যৌনকর্মীরা নিজেরাই মা দুর্গাকে প্রতিষ্ঠা করবেন। সমস্ত আচার, রীতি মেনেই আয়োজন করা হবে পুজোর।