সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতার ডালহৌসির বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মলয় ঘটককে দেখা গেল হাসিখুশি মেজাজেই। এই জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব শেষ হতেই আবার আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব পেলেন মন্ত্রী।
আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। হাসিমুখেই বুধবার বিকেলে বাইরে বেরিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। জেরাপর্ব নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি তিনি। কিন্তু, কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফের এল নোটিস। দ্বিতীয় নোটিসটি পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগেই মলয় ঘটককে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। আজ আরও একবার নোটিস হাতে পেলেন মন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গে কয়লা পাচার মামলায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কয়লা কাণ্ডে গত শুক্রবারই টানা দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর আগে এই মামলাতেই আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটককে ইডি চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু সে বার তিনি সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। এবার আবার ইডির ডাক পেলেন তিনি।
বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ মলয়ের ডালহৌসির সরকারি বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। তার আগেই অবশ্য আসানসোল এবং কলকাতায় মলয়ের আরও পাঁচটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে দেয় সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয় আলিপুর এলাকায় মন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও। পরে রাজভবনের পাশে ডালহৌসি চত্বরে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেখান থেকে তাঁরা বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বেরিয়েছেন। প্রায় একই সময় আসানসোলে মলয়ের পৈতৃক বাড়ি থেকেও বেরোয় সিবিআই।
আজ প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতার ডালহৌসির বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মলয় ঘটককে দেখা গেল হাসিখুশি মেজাজেই। গাড়িতে ওঠার সময় হাত নাড়তে নাড়তে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘‘এটা বিচারাধীন বিষয়। কোনও মন্তব্য করব না।’’ এই জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব শেষ হতেই আবার আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব পেলেন মন্ত্রী।