সম্পত্তির জন্য় ছেলে-বউমার অত্যাচার, আত্মঘাতী বৃদ্ধ দম্পতি

  • সম্পত্তি নিয়ে পরিবারের নিত্য অশান্তি
  • বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য় বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার ছেলে-বউমার
  • অপমানে গলার দড়ি দিয়ে আত্মহত্য়া করলেন বৃদ্ধ দম্পতি
  • ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার পুলিশের

Asianet News Bangla | Published : Oct 12, 2019 7:19 AM IST

সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই।  মানসিক তো বটেই, ছেলে ও বউমা তাঁদের উপর শারীরিক অত্যাচার করতেন বলেও অভিযোগ। শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধনতলায়।  সম্পত্তির নিয়ে পরিবারে অশান্তি থাকলেও, বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার করতেন না বলে দাবি করেছেন ওই দম্পতির ছেলে। 

নদিয়ার ধানতলার হিজুলীতে থাকতেন শঙ্কর পাল ও তাঁর স্ত্রী শিপ্রা পাল।  পুরসভায় চাকরি করতেন শঙ্করবাবু। ওই দম্পতির এক ছেলে ও মেয়ে। দু'জনেই বিবাহিত। বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন ছেলে শশাঙ্ক ও তাঁর স্ত্রী।  স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ছেলে ও বউমার সঙ্গে শঙ্করবাবু ও তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক একেবারেই ভাল ছিল না। হিজুলীতে বসতবাড়িটি তৈরি করেছিলেন শঙ্কর পালই।  তাঁর পৈতৃক জমিজমাও ছিল।  প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বসতবাড়িটি লিখে দেওয়ার জন্য় ওই বৃদ্ধ দম্পতির সঙ্গে প্রায়দিনই অশান্তি করতেন ছেলে শশাঙ্ক ও তাঁর স্ত্রী।  বস্তুত, বৃহস্পতিবার রাতেও পালবাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামিচির শব্দ পেয়েছিলেন আশেপাশের লোকজন। রোজই তো অশান্তি হয়! তাই বিষয়টিকে তেমন আমল দেননি তাঁরা। শনিবার সকালে শঙ্কর পাল ও তাঁর স্ত্রী শিপ্রাদেবীর আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। ঘরের দরজাও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ ওই বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধানতলা থানার পুলিশ।  পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই দম্পতি যে আত্মহত্যাই করেছেন, প্রাথমিক তদন্তে কার্যত নিশ্চিত তদন্তকারীরা। 

 

কী বলছেন শঙ্কর পাল ও শিপ্রা পালের ছেলে-মেয়েরা? প্রতিবেশীদের অভিযোগকে  সমর্থন করেছেন মৃত দম্পতির মেয়ে। তাঁর সাফ কথা, সম্পত্তির জন্য ছেলের অত্য়াচারেই আত্মহত্যা করেছেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। বস্তুত, পারিবারিক অশান্তির কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছেলেও। তবে তার দাবি, বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার করা হত না।  

Share this article
click me!