পার্থর পর কি এবার পালা অনুব্রত মন্ডলের? বীরভূম জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

সিবিআইয়ের একটি দল হানা দেয় বাসাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে। ওই বাড়ির মালিক বীরভূম জেলা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খান। এই দুই ব্যক্তিই অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত।

Parna Sengupta | Published : Aug 3, 2022 6:29 AM IST / Updated: Aug 03 2022, 12:48 PM IST

তৃণমূল নেতাদের ওপর শনির থুড়ি সিবিআইয়ের নজর। একের পর উইকেট পড়ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে এই তল্লাশির কোনও সম্পর্ক না থাকলেও সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল। বুধবার সকালে বীরভূমের পাথর ব্যবসায়ী ও নেতা টুডু মন্ডলের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। 

সেই সঙ্গে ইডির একটি দল হানা দেয় বাসাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে। ওই বাড়ির মালিক বীরভূম জেলা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খান। এই দুই ব্যক্তিই অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত। গরুপাচার মামলা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা সিবিআই একাধিকবার তলব করলেও অসুস্থ সহ বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। শেষবার তিনি সিবিআই-র মুখোমুখি হন। এরপর ৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আর জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসতেই ফের সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণে ভর্তি হন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট।

গরুপাচার কান্ডে গ্রেফতার করা হল অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দেহরক্ষীকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় জেরা করা হয়। বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি মেলে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় সায়গলকে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। 

সূত্রের খবর, এই সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে উঠে এসেছে টুডু ও কেরিমের নাম। সায়গলের ব্যবসা নাকি টুডু দেখতেন। অন্য দিকে, এঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। এই সব সূত্র ধরেই ইডি ওই দুই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর। এরই মধ্যে বুধবার শান্তিনিকেতনে পৌঁছেছে ইডির একটি দল। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে-বেনামে থাকা একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছে তারা। সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিজিও কমপ্লেক্স বেরিয়ে বুধবার সকালেই শান্তিনিকেতনে পৌঁছে গেছেন ইডি আধিকারিকরা। অফিসারদের একটা টিম মঙ্গলবার রাত থেকেই সেখানে রয়েছে বলে খবর। বোলপুর, বীরভূমে  প্রচুর সম্পত্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে অথবা বেনামে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। ওই সম্পত্তির নাগাল পেতেই বোলপুরে পৌঁছে গিয়েছে তদন্তকারী দল।

সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতনে পার্থ এবং অর্পিতার নামে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং জমির খোঁজ মিলেছিল। তার মধ্যে ছিল 'অপা' নামের বাড়িটিও৷ অর্থাৎ, ‘অপা’ ছাড়াও আরও বিভিন্ন জমি, বাড়ি অথবা ফ্ল্যাটের তল্লাশি এবং নথিপত্রের অনুসন্ধান আজ চালানোর সম্ভাবনা। 

Read more Articles on
Share this article
click me!