চল্লিশ লক্ষ টাকা খরচ করে মাস দু' য়েক আগে তৈরি হয়েছিল সুদৃশ্য ফুটপাথ। বসানো হয়েছিল নীল সাদা পেভার ব্লক। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই মাটি ধসে বসে গেল গোটা ফুটপাথটাই। আর এমন বিপত্তি ঘটতেই সরাসরি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাটমানি খেয়ে কাজের বরাত দেওয়ার অভিযোগ তুললেন পুরসভার কাউন্সিলর।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভার বারো নম্বর ওয়ার্ডে। গ্রিন সিটি প্রকল্পের অধীনে কলেজ রোডে পঞ্চাশ ফুট দীর্ঘ ফুটপাথ তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হতেই সম্প্রতি সেই ফুটপাথের নীচে মাটির অংশে ধস নেমে তা বসে যায়।
পুরো ঘটনায় সরকারি গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে ব্যাপক হারে টাকা নয়ছয় এবং কাজের বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হয়েছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরই। একুশটি ওয়ার্ডের ডোমকল পুরসভা তৃণমূলের দখলে রয়েছে। যদিও চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অনাস্থা এনেছেন দলের পনেরো জন কাউন্সিলর। ফুটপাথ বসে যাওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন তাঁরা। ডোমকল পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুল কাউন্সিলর আলম খানও এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'কাজ শুরুর মুখে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই এত বড় ফুটপাত ধসে গেল। সরকারি টাকার ব্যাপক নয়ছয় হওয়ার আঁচ পেয়েই আমরা ১৫জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে যেমন অনাস্থা এনেছি। এবার এই দুর্নীতির কথাও নেতৃত্বকে জানাব।'
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ লোকেরাই ফুটপাথ তৈরির কাজ পেয়েছেন। ফুটপাথের নীচের গার্ডওয়াল যথাযথভাবে তৈরি করা হয়নি। মাটির উপরে বালি না দিয়েই খরচ বাঁচাতে দায়সারাভাবে পেভার ব্লক বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বৃষ্টিতে মাটি বসে গিয়েই গোটা ফুটপাথ বসে গিয়েছে।