মজুদ করে রাখা শক্তিশালী বিস্ফোরক থেকে বিস্ফোরণে এক গৃহবধুর মৃত্যু ও তার জা এর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোমবার মুর্শিদাবাদ জুড়ে।
মজুদ করে রাখা বিস্ফোরক (stored explosives) থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ(Blast)! মৃত গৃহবধূ(Death), গুরুতর জখম ১(Injured), গৃহকর্তার গ্রেফতারে তদন্তে পুলিশ(Police)। বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তের জেলা মুর্শিদাবাদের সঙ্গে পাচার থেকে শুরু করে জঙ্গী কার্যকলাপ বিস্ফোরণের ঘটনা নানান সময়ে উঠে এসেছে। এমনকি সম্প্রতি কয়েক মাস আগে রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা বর্তমান জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন বিস্ফোরণের কবলে পড়ে গুরুতর জখম হন। হাতের আঙ্গুল খোয়াতে হয় তাকে। এমনকি আজও পর্যন্ত এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড অধরা।
তারই মধ্যে ফের মজুদ করে রাখা শক্তিশালী বিস্ফোরক থেকে বিস্ফোরণে এক গৃহবধুর মৃত্যু ও তার জা এর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোমবার মুর্শিদাবাদ জুড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় বাড়ির পাকা ছাদও। মৃতার নাম সিরিনা বিবি(২৪)। বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন ওই পরিবারের আর এক বধূ সাকেরা বিবি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকট আওয়াজে পুরো দোগাছি এলাকা কেঁপে ওঠে। মৃত ও জখম গৃহবধূ দু’জনেই সেসময় বাড়িতে বিড়ি বাঁধছিলেন। বিস্ফোরণে ভেঙে পরে বাড়ির অংশ।চিৎকার শুনে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই দুই গৃহবধূ ঘরে বসে বিড়ি বাঁধছিল।
তখনই আচমকা বিস্ফোরণ হয়। তারপরেই গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়।আর্তনাদ শুনে আমরা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটেছে। পরবর্তীতে বারুদের গন্ধ থেকে শুরু করে নানান জিনিস সেখানে বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। এদিকে ঘটনার পরই পুলিশ মৃতার স্বামী গাজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
দিন কয়েক আগেই মালদহে মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোমার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ঘরের চাল উড়ে যায়। এদিকে তিনটি তাজা বোমা বাড়ির টালির চালে আটকে ছিল বলে দেখতে পায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাড়ির মালিক রফিকুল শেখ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, কী কারণে বাড়িতে বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।