দক্ষিন ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় বাড়ি করার জন্য 'তোলাবাজি' চেয়েছিল এলাকার একটি ক্লাব। ক্লাবটি তৃণমূল কর্মীদের দ্বারাই পরিচালিত বলে দাবি এলাকার মানুষের। আর সেই তোলার টাকা না দেওয়ায় ব্যাপক মারধর করা হল এক সোমা ঘোষ ভৌমিক নামে এক গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার রাধানগর এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নারদ নস্কর ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় সিকিউরিটি গার্ড অরুণ ঘোষ ও তার পরিবার বছর দেড়েক আগে কামরাবাদ এলাকার রাধানগর উত্তরপাড়ায় একটি ছোট টিনের বাড়ি তৈরি করে কোন রকমে দিন অতিবাহিত করছিলেন। অভিযোগ, স্থানীয় নবজাগরণ সংঘের সদস্যরা বাড়ি করার সময় থেকেই দশ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। আর্থিক অনাটনে টাকা না দিতে পারায় তাঁদেরকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার যার মাত্রা বেড়ে যায়। অভিযোগ স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা তথা তৃণমূল অনুগামীরা টাকা না দিতে পারায় এদিন জোর করে ঐ পরিবারের ইলেকট্রিক তার কেটে দেয় ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। বাধা দিতে গিলে ব্যাপক মারধর করে ঐ মহিলা ও তাঁর স্বামীকে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা মহিলা।
যদিও ঘটনার কথা কার্যত অস্বীকার করেছেন মূল অভিযুক্ত নারদ নস্কর। তাঁর দাবি, বেআইনি ভাবে হুকিং করে বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছিল ঐ পরিবার, সেই কারণে তাঁদের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। টাকা চাওয়া বা মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। বরং ঐ মহিলার মেয়ে গ্রামের দুই মহিলাকে মারধর করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি গ্রামের সকলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় গ্রামের মহিলারাই ওঁদের উপর হামলা করেছে বলে দাবি করেন নারদ নস্কর। করোনা আবহে যখন কাজ হারিয়ে সাধারণ মানুষ যখন দিশাহীন, তখন বাড়ি করার জন্য তৃণমূল কর্মীদের এমন তোলাবাজির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল। ঘটনা প্রসঙ্গে তীব্র নিন্দা করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার পূর্ব সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি বসন্ত শেঠিয়া। তিনি জানান তৃণমূলের এটাই কালচার। যাওয়ার সময় এসব করে বেড়াচ্ছে। এসব কোনরকম ভাবে মানা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।