দিঘার আরও কাছে এসে গেল ঘূর্ণিঝড় যশ
এখন থেকেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দিঘায়
শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টি, প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস
কীভাবে তৈরি হচ্ছে দিঘা
সোমবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সাইক্লোন যশ (Cyclone Yaas)। নয়াদিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে (Severe Cyclonic Storm) পরিণত হবে। মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার দুপুর সাড়ে এগারোটার সময় ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। এদিকে, সাইক্লোন যশের প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে উপকূলীয় শহর দিঘায়।
ইতিমধ্যেই ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ভেসে যাচ্ছে দিঘা। এমনিতেই লকডাউনের জেরে এই মুহূর্তে এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে কোনও পর্যটক নেই, তার উপর প্রবল বৃষ্টিপাতে রাস্তাঘাট আরই ফাঁকা। সেইসঙ্গে সমুদ্রে তৈরি হচ্ছে ব্যাপক জলোচ্ছাস। তীব্র আক্রোশে সমুদ্রের একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে বোল্ডারের উপর। আর রয়েছে ভয়ঙ্কর ঝোড়ো হাওয়া। পূর্বাভাস রয়েছে, যেসময় দিঘার উপর দিয়ে যাবে সাইক্লোন যশ (Cyclone Yaas), সেই সময় সমুদ্রের ঢেউ-এর উচ্চতা ১৪ ফুট-এর বেশি হবে।
যশ ৬০০ কিলোমিটার দূরে থাকতেই এই অবস্থা হলে, ২৬ মে তারিখে যখন ঘূর্ণিঝড় যশ পারাদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপারে মধ্যবর্তী কোনও জায়গায় ল্যান্ডফল করবে, সেইসময় অবস্থা কী হবে, তাই ভেবে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তৈরি রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি বা এনডিআরএফ (NDRF)-ও। তাদের পক্ষ থেকে এদিনও বৃষ্টি মাথায় করেই দিঘার জায়গায় জায়গায় বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘুর্ণিঝড়ে গাছ পড়ে গেলে দ্রুত গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য বৈদ্যুতিন কড়াত প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে এক বছর আগে আমফানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে এনডিআরএফ।