মুর্শিদাবাদের নাশকতার ছক! এই নিয়েই এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে পুলিশের উচ্চ কর্তাদের অন্দরমহলে।মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি মৃত ২, আহত কমপক্ষে ৬। ঘটনার জেরে শনিবার আটক করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মহিলা সহ দুইজনকে।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যরাতে সুতির পাদুয়া গ্রামে। ওই বোমা বিস্ফোরণে দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সিটু শেখ ও মাহারুল শেখের। প্রাথমিকভাবে জানা যায় এদের বোমা তৈরির বরাত দেওয়ার জন্য ভাড়া করে আনা হয়েছিল। তদন্তে নেমেছে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার উচ্চ কর্তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আহিরণ পাদুয়া গ্রামের একটি টালির বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। আচমকাই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম হয়েছে আরও ৬-৭ জন।
তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক দু’জন। তাঁদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। একজনের শারীরিক অবস্থা অতি সংকটজনক বলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের গুঁড়িয়ে গিয়েছে বাড়িটিও।সুতি থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, বোমা বাঁধার জন্য শ্রমিকদের ফরাক্কা থেকে সুতিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভাড়া করে। সেসময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা।
কী কারণে বোমা বাঁধা চলছিল, আরও বড় কোনও নাশকতার ছক কি না, এসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বোমা বাঁধার কাজ চলাকালীন এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর প্রায়শয়ই মেলে এই জেলা থেকে। পুলিশের নজর এড়িয়েই এধরনের কাজ চলে। শুক্রবার রাতে আহিরণ পাদুয়া গ্রামের ঘটনা ফের তার প্রমাণ।
তবে এই বিস্ফোরণ যে অন্যগুলোর তুলনায় তীব্রতর, তা মনে করছে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক লক্ষ্য, আহতদের পরিচয় জানা। এদিন জঙ্গিপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন," আমরা ঘটনার মূল চক্রী মহারুল শেখের স্ত্রী সহ আরেক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছি। এর বেশি এখনই তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা সম্ভব নয়"।