হাতে একে ৪৭- ইনসাস, পড়ুয়াদের সেনাবাহিনীতে টানতে শিবির বহরমপুরে

  • প্রজাতন্ত্র দিবসে বহরমপুরে সেনাবাহিনীর শিবির
  • পড়ুয়াদের দেখানো হলো সেনার আধুনিক সরঞ্জাম
  • ছাত্রছাত্রীদের সেনাবাহিনীর প্রতি আকর্ষিত করতেই শিবিরের আয়োজন

debamoy ghosh | Published : Jan 28, 2020 4:58 AM IST

উপচে পড়ছে উৎসুক ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়। কেউ বা হাতে তুলে নিচ্ছে ইন্সাস, কেউ আবার জীবনে প্রথমবার হাতে একে ৪৭ তুলে নেওয়ার সুযোগ পেল। সৌজন্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ শিবির। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য আকর্ষিত করতে প্রজাতন্ত্র দিবসে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে এই শিবিরের আয়োজন করেছিল নবগ্রামের আর্মি ক্যাম্প-এর আধিকারিকরা। 

সেনাবাহিনীর এই  শিবির ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতোই। এতদিন টিভির পর্দায় দেখে বা পত্রপত্রিকায় পড়ে সেনাবাহিনীর যে সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের কথা তারা জানতে পারত, সেগুলিই চোখের সামনে দেখার সুযোগ পেয়ে রীতিমতো শিহরিত তাঁরা। একই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নানা ধরনের সাফল্যের কাহিনিও ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন সেনাকর্তারা। 

এই শিবিরে অত্যাধুনিক এলএমজি মেশিনগান, প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে পারে এমন কম্পনেন্ট আপগ্রেড গান, ইনসাস,  একে ৪৭ সহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর নানা ধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র পড়ুয়াদের দেখানো হয়। কীভাবে কোন অস্ত্র চালাতে হয়, হাতেকলমে তা পড়ুয়াদের দেখিয়ে দেন সেনা জওয়ানরা। যুদ্ধক্ষেত্রের কী হয় না হয়, সেই সংক্রান্ত পড়ুয়াদের কৌতূহলী প্রশ্নেরও উত্তর দেন জওয়ানরা। 

সেনাবাহিনীর তরফে ব্রিগেডিয়ার নিশ্চল সুদ বলেন, 'আমাদের দেশের সেনাবাহিনী কীভাবে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত হয়ে দেশবাসীকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সীমান্তে অতন্দ্রপ্রহরীর মত জেগে রয়েছে, তা পড়ুয়াদের সরজমিনে দেখানোই এই শিবিরের উদ্দেশ্য। আমাদের আশা এর ফলে পড়ুয়াদের মধ্যেও ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ বাড়বে।' 

ছাত্রদের মতো ছাত্রীদেরও যে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীর প্রতি আকর্ষিত করা এই শিবিরের লক্ষ্য, তাও জানিয়েছেন সেনা কর্তারা। নবগ্রাম মিলিটারি স্টেশনের কমান্ডার গৌরব সুদান বলেন, 'শুধু ছাত্ররাই নয় আমাদের ঘরের ছাত্রীদেরও একইভাবে দেশের সেনাবাহিনীর কাজের প্রতি আকর্ষণ করতে এবং ভবিষ্যতে তারাও যাতে দেশের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে সেই ভাবনা গড়ে তুলতেই এই অভিনব আর্টিলারি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।'

সেনাবাহিনীর সমরাস্ত্র চাক্ষুষ করতে পেরে রীতিমতো খুশি ছাত্র-ছাত্রীরাও। বিকাশ দাস, সুলতানা খাতুন, অশোক মুর্মুর মতো পড়ুয়ারাদের কথায়, 'এতদিন টিভির পর্দায় আর সিনেমাতেই সেনাবাহিনীর নানা কার্যকলাপ আমরা দেখেছি  এত কাছ থেকে এইভাবে নেড়েচেড়ে দেখতে পাওয়ার অনুভূতি একেবারেই আলাদা। দেশের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু করা উচিত। আমরাও চেষ্টা করব আগামী দিনে সেনাবাহিনীতে যোগদান করার।'

Share this article
click me!