ঘূর্ণিঝড় যশ-এর মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা এসে গেল দিঘায়
আগেই এসেছিল এনডিআরএফ এসডিআরএফ এবং নৌসেনা
তবে মমতা সেনা জওয়ানদের উদ্ধারকাজে হাত লাগাতে দেবেন তো
এবার ঘূর্ণিঝড় যশ-এর মোকাবিলায় ময়দানে নেমে পড়ল ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০ জনের একটি দল এসে পৌঁছায় দিঘায়। নিউ দিঘার একটি হোটেলে তারা উঠেছে। এই বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে গাছ কাটার মেশিন, বিশাল বিশাল আকারের মই ও ঘুর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পড়ে উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় সমস্তরকমের সাজসরঞ্জাম। ঘূর্ণিঝড় যশ-এর বেশি প্রভাব পড়বে ওড়িশাতেই। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেও যথেষ্ঠ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিঘার সমুদ্রে ৪ মিটার পর্যন্ত উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই, সেনাবাহিনীকে তৈরি রাখা হচ্ছে।
২৬ মে অর্থাৎ বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ওড়িশার বালাসোরে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা ঘূর্ণিঝড় যশের। ওইদিনই রাজ্যে যশের প্রভাব দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই সুপার সাইক্লোন যশ মোকাবিলায় এনডিআরএফএ-র দল, এসডিআরএফ বাহিনী এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর এগারো জনের একটি বিশেষ দল রয়েছে দিঘায়। আসা বাকি ছিল ভারতীয় সেনার। অবশেষে সেই শেষ সংযোজনটিও হয়ে গেল। কাজেই ঘূর্ণিঝড় আমফান-এর মোকাবিলার জন্য সেই ভাবে প্রস্তুতি না থাকলেও যশকে রুখতে একেবারে তৈরি বাংলা।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতির কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। ২৫ ও ২৬ তারিখ একেবারে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ঘাঁটি গেড়ে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৯ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ, অফিসার, কর্মী - সব মিলিয়ে রাজ্য সরকার ৩ লক্ষ ব্যক্তিকে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় নিযুক্ত করেছে। ঘূর্ণিঝড় আমফানের সময়, অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্বের পর, দুর্যোগের তিনদিন পর সেনাকেকাজে নামার অনুমতি দিয়েছিলেন মমতা। এবার অবশ্য প্রয়োজন পড়লেই সেনা নামানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, 'দুর্যোগ কবলিত এলাকায় যারা কাজ করে তাদের সবাইকেই নামানো হবে'। সেই কারণেই সম্ভবত আগেভাগে জায়গায় পৌঁছে গেল সেনা জওয়ানরা।