প্রশাসনে মন দিন, অশান্তি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ ধনখড়ের

  • ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন জগদীপ ধনখড়
  • রাজ্য জুড়ে অশান্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করার প্রস্তাব
  • তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য নিয়েও অসন্তোষ রাজ্যপালের
     

মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশাসনের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। শুধু তাই নয়, শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানালেন রাজ্যপাল। খোঁচা দিয়ে বললেন, তাঁর হাতেই যে রাজ্য চালানোর ক্ষমতা রয়েছে অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করে তা প্রমাণ করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে রাজ্য জুড়ে যে বেলাগাম তাণ্ডব চলছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জগদীপ ধনখড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। 

Latest Videos

রাজ্যপাল বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে যা চলছে তা কল্পনাতীত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশাসনের দিকে নজর দিতে অনুরোধ করব। যদি তাঁর কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলেও মুখ্যমন্ত্রী সেকথা বলুন। এটা রাজনৈতিক লাভক্ষতির হিসেব করার সময় নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে আমি নাকি সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছি। কিন্তু গোটা রাজ্য জানে কে সরকার চালাচ্ছে। আর এখন সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাঁর হাতে যে যে ক্ষমতা আছে, তার সব ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, যাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে। সংবিধানও মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এটাই আশা করে।' এর পরেই তাৎপর্যপূর্ণভাাবে রাজ্যপাল বলেন, 'যদি মনে হয় আপনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তাহলে সাহায্য চান। সংবিধানে সেই সুযোগও রয়েছে।'

শুধু প্রশাসন নয়, দল নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতে ছাড়েননি ধনখড়। রাজ্যপালের অভিযোগ, শাসক দলের অনেক নেতাই এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরাল করে তুলছে। নিজেদের দলের এই নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রীরাও যাতে রাজ্যপালকে আক্রমণ করার পরিবর্তে রাজ্য় জুড়ে তৈরি হওয়া অশান্তি কমানোর দিকে মন দেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই আবেদনও করেছেন রাজ্যপাল। 

যেভাবে সরকারি, বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে, তা নিয়েও পুলিশের সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, 'জনগণের অর্থ নষ্ট করে দেশের আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো যায় না। যা হচ্ছে তাতে আমি ব্যথিত, স্তম্ভিত। এই পরিস্থিতি আরও সক্রিয়তা দাবি করে। পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল, পরিস্থিতি অনুধাবন করা উচিত ছিল। 

রাজ্যপাল বলেন, 'এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনৈতিক লাভ, ক্ষতি হিসেব করার সময় নয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।'

এ দিন এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা বিজ্ঞাপন নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর প্রশ্ন, সরকারি অর্থে কীভাবে দেশের আইনের বিরোধিতা করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের মতে, এই ধরনের বিজ্ঞাপন অসাংবিধানিক। 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘Chinmoy Krishna-কে আমি মুক্ত করবোই’ নির্ভীক Bangladeshi আইনজীবী Rabindra Ghosh-এর চরম প্রতিশ্রুতি
'ওদের লেজ কখনও সোজা হয় না' কেন বললেন শুভেন্দু! দেখুন বুঝে যাবেন | Suvendu Adhikari | Bangla News
জালে পুরনো পাপী! জাল পাসপোর্ট পৌঁছে যেত অনুপ্রবেশকারীদের হাতে! | Duttapukur News | Kolkata
বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra Paul-এর! Mamata-র বিরুদ্ধে RG Kar কাণ্ডের প্রমাণ লোপাটের সরাসরি তোপ
'ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা' হিন্দুদের প্রতি সহানুভুতি, বাংলাদেশী জঙ্গিদের টার্গেট Suvendu Adhikari