প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন মঙ্গলবার। আর তার ঠিক আগের দিন আচমকাই আসানসোলের কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী যশোদা বেন। ধানবাদে একটি সমাজসেবামূলক অনুষ্ঠানে এসে এক ফাঁকে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে আসেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী।
সোমবার বেলা পৌনে একটা নাগাদ হঠাৎই কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে আসেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যে মন্দিরে আসেন তিনি। মা কল্যাণেশ্বরী মন্দির এবং শিব মন্দিরে পুজো দেন যশোদা বেন। মন্দির চত্বরে রাজেশ প্রসাদ নুনিয়ার দোকান থেকে ২০১ টাকার পুজোর ডালা কিনে মন্দিরের ভিতরে ঢোকেন যশোদা বেন। শুভঙ্কর দেওঘরিয়া ও বিল্টু মুখোপাধ্যায় নামে দুই সেবায়েতের কাছে মা কল্যাণেশ্বরীর পুজো দেন তিনি। দক্ষিণা হিসেবে ১০১ টাকা দেন দুই সেবায়েতকে। এর পর শিব মন্দিরে গিয়ে জলও ঢালেন তিনি। এর পরেই গাড়িতে উঠে ধানবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন যশোদা বেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী নিরাপত্তার তদারকি করতে পুলিশের বড়কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর আসার কোনও খবর স্থানীয় বিজেপি নেতাদের কাছে ছিল না। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে কোনও প্রতিক্রিয়াও দেননি যশোদা বেন।
যশোদা বেইনের সঙ্গে তাঁর ভাই অশোক মোদী ও ব্যক্তিগত সচিব অনুজ শর্মা ছিলেন। তবে কল্যাণেশ্বরী মন্দির আসার আগে তিনি ধানবাদের বিটাহী রামরাজ মন্দিরেও পুজো দিয়ে আসেন। ধানবাদের মন্দিরে ঢোকার আগে অবশ্য স্থানীয়রা নরেন্দ্র মোদীর নামে জয়ধ্বনি দেন। গুজরাতি ভাষায় তাঁকে স্বাগতও জানানো হয়। এ দিন দুই মন্দিরেই পুজো দেওয়ার সময় তাঁর যথেষ্ট হাসিখুশি ছিলেন যশোদা বেন। ধানবাদের মন্দিরে রাম সীতার পুজো দেওয়ার পাশপাশি আরতিও করেন তিনি।
কল্যানেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত বিল্টু মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর পুজো আমি করাচ্ছি, এটা ভেবেই শিহরিত লাগছিল।অনেক ভিআইপি-কেই আমি মন্দিরে পুজো করিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রীর পুজোও আমি করিয়েছি। এছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রীরাও আসেন।' বিল্টু মুখোপাধ্যায় জানান, সবার মঙ্গল কামনায় পুজো দিয়েছেন যশোদা বেন।
রবিবার সকালে হাওড়া থেকে ট্রেনে ধানবাদ পৌঁছন যশোদা বেন। সেখানে অখিল ভারতীয় সাহু বৈশ্য মহাসভার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিশু শিক্ষার উপরে জোর দেন তিনি।