কলকাতায় লাগাতার মিছিল করছেন তৃণমূল নেত্রী, অথচ মুর্শিদাবাদে হিংসায় আক্রান্তদের দেখতে গিয়ে বাধা পেলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের গো ব্য়াক স্লোগানের মুখে পড়েন তিনি। পরে মোড়়গ্রামে যেতে গেলেও সেখানে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে বলেও কোনও কাজ হয়নি।
এদিন পালসন্ডায় তৃণমূল কর্মীদের বাধার মুখে পড়লে নিজেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে সামনে রাখা টোটো সরাতে যান তিনি। কিন্তু সেখানেও কালো কাপড় দেখিয়ে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ এই পরিস্থিতির পর মোড়গ্রাম দিয়ে হিংসায় আক্রান্তদের দেখার উদ্য়োগী হন তিনি। কিন্তু সেখানে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পরে কর্মসূচি বাতিল করে কলকাতায় ফিরে আসেন কৈলাস।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্য় বিজেপির পর্যবেক্ষক বলেন,নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে রাজ্য়ের একাধিক মানুষের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। এই আক্রান্ত পরিবারগুলোর সঙ্গেই দেখা করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথেই আমাকে আটকে দেওয়া হল। রাজ্য়ের অরাজক অবস্থা বোঝাতে নিজেই মুর্শিদাবাদের ভিডিযো টুইট করেছেন কৈলাস।
রাজ্য় রাজনৈতিক মহলের মতে, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শাসক দল প্রচারের সুযোগ পেলেও জোর করে বিজেপির মুখ বন্ধ করা হচ্ছে। বার বার মিছিলের অনুমতি চাওয়া হলেও অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। এই নিয়ে সম্প্রতি সুলেখার মুখেই অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, সারা রাজ্য়ে আগুন জ্বলছে সেখানে নিষ্ক্রিয় রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু যাদবপুরে বিজেপির মিছিল দেখেই আটকাতে সক্রিয় হয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি ইস্যুতে উত্তাল রূপ নিয়েছে রাজ্য়। এখনও অশান্তির আগুন জ্বলছে রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায়। মুর্শিদাবাদে হিংসার কারণে কিছু জায়গায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকাতেই বিজেপি নেতাকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে।