ChildrenTrafficking in WB : বড়সড় শিশু পাচার চক্রের হদিশ হাবড়ায়, গ্রেফতার ৪

অভিযুক্ত দুই মহিলা পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে এর আগেও একাধিক শিশু বিক্রির ঘটনার সাথে তারা যুক্ত ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, দুজনের বাড়ি দত্তপুকুর থানার বামুনগাছি এলাকায় । 

Jaydeep Das | Published : Feb 2, 2022 6:12 PM IST

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলায় ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে শিশু পাচারের পরিমাণ (, the number of child traffickers is increasing in Bengal)। এদিকে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে চারদিনের কন্যাশিশুকে বিক্রি করতে এসে হাতেনাতে গ্রেফতার ৪(childrenTrafficking is on the rise in Habra)। সূত্রের খবর, বুধবার হাবড়া পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে লাবনী দাশ ও হাফিজা খাতুন নামে দুই মহিলা একটি শিশুকে বিক্রি করতে আসছে।  তাতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। পাচারকারীদের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে এদিন হাবড়ায় জিরাট রোড সংলগ্ন এলআইসি বিল্ডিং এর কাছ থেকে হাতেনাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাবড়া থানার পুলিশ।  উদ্ধার করা হয়েছে চারদিনের ছোট্ট শিশুটিকে । শিশুটি এই মুহূর্তে হাবরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে জেলার প্রশাসনিক মহলেও। 

এদিকে অভিযুক্ত দুই মহিলা পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে এর আগেও একাধিক শিশু বিক্রির ঘটনার সাথে তারা যুক্ত ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, দুজনের বাড়ি দত্তপুকুর থানার বামুনগাছি এলাকায় । পুলিশি জেরায় দুই মহিলার স্বীকার করেছে বামুনগাছি এলাকারই মর্জিনা খাতুন ও কবীর মন্ডল এর সন্তান এই শিশুটি । তাদের আরও চারটি সন্তান রয়েছে, সন্তান হওয়ার সমস্ত খরচা করে অভিযুক্ত লাবনী । বারাসাতের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে বেনামে ভর্তি হয় এক গর্ভবতী মহিলা। সেখানেই সন্তান প্রসব করে সে। চার লক্ষ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল শিশুটির মা মর্জিনা বিবিকে।

আরও পড়ুন- 

আরও পড়ুন- 

এই ঘটনায় বুধবার রাত পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই চক্রের সাথে আর কে কে যুক্ত আছে সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই জোরদার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে হাবড়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি এলাকার আর কোন কোন মানুষ এই পাচারকারীদের খপ্পরে পড়েছে তাও খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বৃহস্পতিবার তাদের পাঠানো হবে বারাসত আদালতে। সেখানে বিচারক কি রায় দেন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। তবে ধৃতেদের আপাতত নিজেদের হেফাজতেই রাখতে চাইতে পারে পুলিশ। তাদের জেরা করেই তদন্তের পথে আগমীর পর্দা উন্মোচন করতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। এদিকে চিকিৎসাধীন শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে তুলে দেওয়া হবে চাইল্ড লাইনের হাতে। শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে এমনটাই। এদিকে এই ঘটনার খবর চাউর হতে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে যায় হাবড়ায়। 

আরও পড়ুন- 

Share this article
click me!