পরের ছুটিতেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন লেপচা। কিন্তু এক লহমায় যে কি হয়ে গেল, পার্কসার্কাস গুলিকাণ্ডে হতবাক সবাই। কী বললেন তার ভাই-বোনেরা।
পরের ছুটিতেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন লেপচা। কিন্তু এক লহমায় যে কি হয়ে গেল, পার্কসার্কাস গুলিকাণ্ডে হতবাক সবাই। উল্লেখ্য, পুলিশ কর্মীর এলোমেলো গুলির ঘায়ে জখম হয় এক পথচারী মৃত্যু হয় অন্যজনের। কিছুক্ষণ পরে আত্মহত্যা করে পুলিশ কর্মী চোডুপ লেপচা। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক সার্কাস এলাকায়। পুলিশ কর্মী আচমকাই আউটপোস্ট থেকে বেরিয়ে আসে। কড়েয়া থানা এলাকায় লোয়ার রেঞ্জ রোড দিয়ে হাঁটতে শুরু করে সে। তারপর আচমকাই হাতে তুলে নেয় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। তারপর এলেপাথাড়ী গুলি চালাতে শুরু করে। একসময় একটি অ্যাপ বাইক এসে পড়ায় গুলি লাগে বাইকের চালক ও আরোহীর গায়ে। বাইকের আরোহী মহিলার মাথা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ কর্মী চোডুপে রাইফেল থেকে নিজের গলায় গুলি চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। লেপচার পরিবার জানিয়েছে, এক সপ্তাহের বিরতি লেপচা বাড়িতে দারুণ কাটিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে শুক্রবার সকালে ডিউটি যাবার আগে বোন ইয়াংমিতের সঙ্গে কথা বলেন লেপচা। বোন ইয়াংমিত জানিয়েছেন সকাল ৮ টা ৪০ এর দিকে আমায় ফোন করেন লেপচা।কিছুক্ষণ কথা বলেছিলেন। এবং আরও বলেন তার ডিউটি শেষে তিনি আমাকে ফোন করবেন বলেও ছিলেন তিনি, জানান বোন ইয়াংমিত। কালিংপং গেলে বরাবর ভাই ও শালিকার সঙ্গে থাকতেন লেপচা। তবে সাম্প্রতিক সফরেই উঠে আসে, যে তিনি বিয়ে করতে চান। ইচ্ছে ছিল, পরের ছুটিতেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন তিনি। শেষবার কালিংপংয়ে গিয়ে এটাই বলেছিলেন লেপচা। তবে সেসব আর কিছু করা হল না। অসম্পূর্ণ রেখেই চিরঘুমে দেশে লেপচা।
আরও পড়ুন, 'দাঙ্গা বাধানো'- সহ একাধিক অভিযোগ, পুলিশি রদ পদলের পরেই বিরাট সংখ্যায় গ্রেফতার হাওড়ায়
পার্কসার্কাস গুলিকাণ্ডে নিহত লেপচা। এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রথমে ওই পুলিশ কর্মী ইনসাস হাতে ঘোরাফেরা করে। তারপর একটি বাড়ির নিচে গিয়ে চিৎকরা করে। তারপরই লোয়ার রেঞ্জ রোডের মুখে এসে আচমকাই নিজের এনসাস বন্দুক গিয়ে এলোমেলো গুলি চালাতে থাকে। সেই সময়ই দুই বাইক আরোহী এসে পড়ায় তারা গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হয়। তারপরই পুলিশ কর্মী নিজেকে লক্ষ্য় করে গুলি করে আত্মহত্যা করে। জানা গিয়েছে, মরদেহ আশার পর লোলায়ের বাড়িতে লেপচার শেষকৃত্যু সম্পন্ন হবে। লেপচার ভাই বলেন , আমাদের কোনও ধারণা নেই যে, মৃতদেহ কবে ফিরবে।সব কিছুই নির্ভর করছে কলকাতার অফিসিযাল পদ্ধতির উপরেই।