দিঘায় গিয়ে ফুরফুরে মেজাজে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মদন মিত্র। সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নে উত্তর দিলেন বেশ মজা করেছে। পাশাপাশি নিজের স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে সিবিআই ও ইডি ইস্যুতে আক্রমণও করলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।
দিঘায় গিয়ে ফুরফুরে মেজাজে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মদন মিত্র। সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নে উত্তর দিলেন বেশ মজা করেছে। পাশাপাশি নিজের স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে সিবিআই ও ইডি ইস্যুতে আক্রমণও করলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, যতবার আমি সিবিআই তে গেছি ততবার বাংলায় আমার স্ট্যাটাস বেড়ে গেছে। 'আমি সবাইকে বুক ফুলিয়ে বলি আমায় সিবিআই কবার ডেকেছে জানিস ? অন্তত ২০০ বার।' তখনই পাল্টা উত্তর আসে- ওরে বাপরে বাপ অনেক বড় লিডার মদন মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, আবার ডাকলে আবার যাবেন।বলেন 'যত বেশি সিবিআই-তে যাই ততো আমার ভক্ত আর সেলফির সংখ্যা বেড়ে যায়।'
মদন মিত্র বলেন, 'সিবিআই, ইডি বলে লাভ নেই। কুছ কার কে দিখাও ,শুধু অত ভাষণ দিয়ে কোন লাভ আছে?' তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কেও কথা বলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, অনুব্রত যদি সুস্থ থাকে যাবে। তার অসুস্থতা নিয়ে সে ডাক্তাররা বুঝবে। মদন কথাপ্রসঙ্গে অমিত শাহর কথাও তুলে আনেন। বলেন 'অমিত শাহকেও একদিন সিবিআই এর আন্ডারে গিয়ে জেলে থাকতে হয়েছে। চিদাম্বারাম ও সোনিয়া কেও উঠিয়েছে।'
ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে বরাবরই কথাবার্তা বলছে। এখন তো সব মামলা বিচারাধীন। 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় যাবেন- সময় চেয়েছেন। আমি মামলার কোন ব্যাপার নিয়ে কথা বলবো না। মামলায় যদি বেরায় আমি অপরাধী আমায় শাস্তি দিক। দোষী ছাড়া পেয়ে যায় আপত্তি নেই, নির্দোষ যেন শাস্তি না পায় বললেন মদন মিত্র।' ছাত্র আন্দোলন নিয়ে এটাই তাঁর বক্তব্য বলে জানিয়ে দেন মদন মিত্র। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে মদন বলেন, 'আপনি আমায় দেখিয়ে মামলা করেছেন, আর সব নিজের আত্মীয় গুলো কে পর পর ভালো জায়গায় ঢুকিয়েছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তারপরই স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বলেন- ' "ও লাভলি", সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ।
গতকাল গায়ক কেকের মৃত্যু নিয়ে তিনি বললেন গান এখন আর আমি গাইবো না, কারণ গতকাল আমি চিপ গেস্ট ছিলাম ওই অনুষ্ঠানে, কে কে যে মদিনা এবং মন্দিরের যাত্রী সেটা জানতাম না।