গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি , কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। গঙ্গারামপুরে মহিলার উপর নারকীয় অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূল উপপ্রধান অমল সরকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মালদহের বামনগোলা থেকে গঙ্গারামপুর আসার পথে অভিযুক্ত উপপ্রধান ধরা পড়ে যান বলে জানা দিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত্র দিন কয়েক আগে। গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় চার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, নন্দনপুর মোড় থেকে হাঁপুনিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তার তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ। রাস্তাটি তৈরির কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গ্রামের এক মহিলার আপত্তিতে মোটে পাঁচশো মিটার জমিতে কাজ আটকে ছিল বলে অভিযোগ। ওই মহিলার দাবি, রাস্তা তৈরি করতে নাকি তাঁর জমি চলে যাচ্ছে। তাই রাস্তার কাজ করতে দেবেন না তিনি।
জানা গিয়েছে, এলাকার রাস্তা তৈরি নিয়ে শুক্রবার ওই মহিলার সঙ্গে গ্রামবাসীদের গন্ডগোলও হয়। শুধু তাই নয়, রাস্তার কাজ শুরু করার জন্য ওই মহিলাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে টানতে টানতে তাঁর বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধরও করা হয়। এমনকী, ওই মহিলার মা ও দিদিও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আক্রান্ত মহিলা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পর তৃণমূল পরিচালিত নন্দনপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকারের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন তিনি। আক্রান্তের অভিযোগ, খোদ উপপ্রধানের নেতৃত্বে তাঁর উপর অত্যাচার চলেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন, তবে ঘটনাটি নিয়ে হইচই শুরু হতে গা-ঢাকা দেন অমল সরকার। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এদিকে গঙ্গারামপুরে শিক্ষিকার উপর নারকীয় অত্যাচারের ঘটনায় আবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। ডিস্ট্রিক লিগাল সার্ভিস অথরিটি বা ডিএলএলএস-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন-এর ডিভিশন বেঞ্চ।